চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের টিকা বিবিআইবিপি-করভির অনুমোদনের পর দেশটির আরেক কোম্পানি সিনোভ্যাকের ডোজ করোনাভ্যাক জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
এই টিকা বাংলাদেশে আনবে ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড।
অধিদপ্তরের রোববারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে ১ জুন সিনোভ্যাকের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেসার্স ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর টিকাটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পার্ট, সিএমসি পার্ট ও রেগুলেটরি স্ট্যাটাস মূল্যায়ন করে। এরপর করোনা চিকিৎসার জন্য পাবলিক হেলথ ইমারজেন্সির ক্ষেত্রে ঔষধ, ইনভেস্টিগেশনাল ড্রাগ, টিকা ও মেডিক্যাল ডিভাইস মূল্যায়নে গঠিত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সিনোভ্যাকের ডোজ জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এই টিকা আরও ২২টি দেশ অনুমোদন দিয়েছে।
১৮ বছরের বেশি বয়সীদের দুই ডোজের এই টিকা দেয়া হয়। প্রথম ডোজের চার সপ্তাহ পর এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়ে থাকে।
টিকাটি ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায়।
ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কিনতে সরকার যে চুক্তি করেছে, তার অংশীদার বেক্সিমকো ফার্মা। চুক্তি অনুযায়ী তারাই টিকা নিয়ে আসবে দেশে। পরিবহনের পাশাপাশি দেশে সংরক্ষণের দায়িত্বও তাদের। অর্থও পরিশোধ করবে প্রতিষ্ঠানটি। পরে সরকার বেক্সিমকোকে দেবে টাকা।
সিরাম থেকে তিন কোটি টিকা আনতে গত বছরের ৫ নভেম্বর হয় সমঝোতা স্মারক। পরে ১৩ ডিসেম্বর হয় ক্রয়চুক্তি।
চুক্তির আওতায় দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ বাংলাদেশ হাতে পেয়েছে। ভারত সরকারের দুই দফা উপহারের ৩২ লাখ ডোজ মিলে ১ কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসেছে।