প্রস্তাবিত অর্থবছরের বাজেটে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা কেনার জন্য ১৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
প্রয়োজন হলে আরও বেশি টাকা দেয়া হবে। এ খাতে বরাদ্দ কোনো সমস্যা নয় বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার। তা ছাড়া স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি রোধে শিগগিরই ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হাতে নেয়া হবে।
শুক্রবার বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
স্বাস্থ্য খাতে গত বাজেটের চেয়ে ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে উল্লেখ করে অর্থসচিব আরও বলেন, এবারের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে যে পরিমাণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, তা মোট বাজেটের ৬ দশমিক ৩ শতাংশ।
এ খাতে টাকা কোনো সমস্যা নয় জানিয়ে অর্থসচিব আরও বলেন, ‘এক বছরে আমরা যে পরিমাণ টিকা প্রয়োগ করতে পারব, তা কেনার জন্য ১৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে।’
যদি আরও প্রয়োজন হয়, ‘প্রয়োজেনে অন্য খাত থেকে টাকা এনে আমরা সরবরাহ করতে পারব’ উল্লেখ করেন তিনি।
স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি একটি বড় সমস্যা। এ অবস্থায় বরাদ্দ বাড়িয়ে লাভ কী–সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি ঠিকই বলেছেন। স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজাতে হবে।’
এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা সচিব উপস্থিত না থাকায় এর জবাব দেন অর্থসচিব।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতের বড় দুটি সমস্যা। একটি হচ্ছে কেনাকাটায় দুর্নীতি; অপরটি হচ্ছে অব্যবস্থাপনা।
অর্থসচিব বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়ের ক্ষেত্রে নানাভাবে দুর্নীতি হয়। আমরা এখন থেকে কেনাকাটার মূল্যায়ন (অ্যাসেসমেন্ট) করব। ক্রয় খাতে চাহিদা অনুযায়ী কী পরিমাণ অর্থ দরকার তা দেখে অর্থ ছাড় করা হবে।
‘এ ছাড়া স্বাস্থ্যে যেসব প্রকল্পের পিডি আছেন, তাদের নিয়ে শিগগিরই বসব। এ বিষয়ে একটি ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নেয়া হবে। নতুন অর্থবছরের শুরু থেকেই এটা নিয়ে কাজ হবে।’
এ প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘করোনায় অর্থনীতি ও জীবন-জীবিকার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বরাদ্দ কোনো সমস্যা না।’
অর্থসচিবকে উদ্দেশ করে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনি ঠিকই বলেছেন। স্বাস্থ্য খাতে নানা অনিয়ম হয়। এ খাতে টাকা কোনো সমস্যা নয়। সব মিডিয়াতেই দেখেছি স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কম আরও বেশি দিতে হবে– এমন খবর ফলাও করে প্রকাশ করেছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বরাদ্দ বাড়িয়ে লাভ কী, যদি ব্যয় ঠিকমতো না করা যায়। সবাইকে নিয়ে করোনা মোকাবিলা করতে হবে।’