করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন পশ্চিমবঙ্গে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সামনের সারির অন্যতম যোদ্ধা স্বাস্থ্য পরিবহন দপ্তরের কর্মকর্তা গৌতম চৌধুরী।
মেডিকা হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে।
রাজ্যে করোনা প্রতিরোধী টিকা বণ্টনের দায়িত্বে থাকা গৌতম চৌধুরী নিজেও টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন। তার মৃত্যুতে একজন প্রকৃত করোনাযোদ্ধাকে হারাল পশ্চিমবঙ্গ।
শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা গৌতম চৌধুরী স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে খুবই কাজের লোক বলে পরিচিত ছিলেন।
কেন্দ্রের পাঠানো টিকা নিয়ে এসে বাগবাজারের সেন্ট্রাল স্টোরে মজুত করা থেকে শুরু করে সেই টিকা বিভিন্ন জেলায় পাঠানো-পুরো কাজটিই হতো গৌতম চৌধুরীর নেতৃত্বে।
কবে, কখন টিকা আসবে, এয়ারপোর্ট থেকে কীভাবে টিকা আসবে, ভারত বায়োটেক বা সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, প্রয়োজনে টিকা পাঠানোর জন্য বিমান ব্যবস্থা এসব কাজে তার আন্তরিকতা বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।
এসবের পাশাপাশি সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের তদারকির দায়িত্বও গৌতম চৌধুরীর ওপর।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫৬ বছর বয়সী গৌতম বেশ কিছুদিন ধরেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে চিকিৎসকরা ভেন্টিলেশনে রাখেন। বৃহস্পতিবার সকালে মেডিকা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার মৃত্যুর সংবাদ দেয়।
পরিসংখ্যান বলছে, এখন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে করোনাযোদ্ধা ১৩০ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই স্বনামধন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তা রয়েছেন।