দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ বেড়েই চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৮৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৩৪ জনের।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ১৯ মে থেকে প্রতিদিন এক হাজার ওপরে করোনা রোগী শানাক্ত হয়েছে। ২৯ মের পর থেকে সংক্রমণ ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে।
গত শুক্রবার এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই দিন নতুন করে এক হাজার ৪৩ জনের দেহে করোনার শনাক্তের খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
পর দিন মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৮ জনে। এ সময়ের মধ্যে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয় ১ হাজার ৪৪৪ জনের দেহে।
করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সোমবার মৃত্যু হয় ৩৮ জনের। এসময়ের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয় ১ হাজার ৭১০ জনের দেহে।
গত মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪১ জনের মৃত্যু হয়। এই সমেয়র মধ্যে নতুন করে এক হাজার ৭৬৫ জনের দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়।
বুধবার এসে দুই হাজারের কাছে নতুন রোগী শনাক্ত হলো। এই দিন ১ হাজার ৯৮৮ জনের দেহে নতুন করে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। এই সময়ে আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে এ পর্যন্ত আট লাখ চার হাজার ২৯৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৬৯৪ মনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০৯টি ল্যাবে ২০ হাজার ২৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ। করোনা থেকে গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৯১৪ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫ জন। সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫১ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ২১ জন পুরুষ, ১৩ জন নারী। তাদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব তিন চল্লিশোর্ধ্ব পাঁচ, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৮ ও ষাটোর্ধ্ব ১৮ জন।
বিভাগ অনুযায়ী ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা বিভাগে পাঁচ জন করে এবং সিলেট ও রংপুরে তিন জন করে মৃত্যু হয়েছে।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কথা ঘোষণা করে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত বছরের ৪ জানুয়ারি থেকেই দেশের বিমানবন্দরসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে। ওই বছরের ৪ মার্চ সমন্বিত করোনা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়।