এক দিনের ব্যবধানে আবার সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে ভারতে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৭৮৮ জনের। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২৭ হাজারে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এনডিটিভি জানায়, টানা ৩৫ দিন পর মঙ্গলবার দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা তিন হাজারের নিচে নামলেও এক দিন পরই তা আবার তিন হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আরও ৩ হাজার ২০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে ভারতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ১০২ জনে।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৮৩ লাখ ৭ হাজার ৮৩২ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার আরও কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৫৭ শতাংশে। আর মোট শনাক্তের হার এখন ৮ দশমিক ০৯ শতাংশ।
মহামারি সামাল দিতে পুরো ভারতেই জোর দেয়া হয়েছে টিকাকরণে। ১৮ বছরের ওপর সবার জন্যই টিকা কর্মসূচি নেয়ার এক মাস অতিক্রম করেছে দেশটি। তবে এর মধ্যে অনেক রাজ্যে পর্যাপ্ত টিকা না পাওয়ায় কর্মসূচি চলেছে ধীরলয়ে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে টিকা দেয়া হয়েছে ২৩ লাখ ৯৭ হাজার ১৯১ জনের। এখন পর্যন্ত টিকা দেয়া হয়েছে ২১ কোটি ৮৫ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬৭ জনকে।
দৈনিক সংক্রমণ কম হওয়ায় দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও কমে এসেছে। দুই সপ্তাহ থেকে টানা কমে চলেছে সক্রিয় রোগী। ২৪ ঘণ্টায় আরও এক লাখের বেশি রোগী কমেছে। এখন সক্রিয় রোগী আছে ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪৫ জন।
কয়েক দিন থেকেই ভারতের বেশির ভাগ রাজ্যে কমছে সংক্রমণ। সংক্রমণে কমেছে পশ্চিবঙ্গেও। এখন রাজ্যটিতে সংক্রমণ কমে ৯ হাজারের ঘরে নেমেছে। তবে দৈনিক মৃত্যু এখনও ১০০-এর ওপর।
ভারতে এখন সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে তামিলনাড়ু রাজ্যে। সেখানে দৈনিক সংক্রমণ ৩০ হাজারের ঘরে ওঠানামা করছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যটিতে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ২৬ হাজার ব্যক্তির।
গত মে মাসে দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ চার লাখ ছাড়িয়ে যায়। তখন বেশ কয়েক দিন টানা চার লাখের ওপর ছিল সংক্রমণ। মৃত্যুও বেড়ে সাড়ে চার হাজারে ঠেকেছিল।
অবশ্য ভারত সরকার করোনা রোগী ও মৃত্যুর যে হিসাব দিচ্ছে সেটা সঠিক নয় বলে দাবি করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এই সংখ্যা কোথাও কোথাও কয়েক গুণ।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন দেয়া হয়েছে। যা সংক্রমণ কমার সঙ্গে সঙ্গে শিথিল করতে শুরু করেছে রাজ্যগুলো।