ফাঙ্গাসজনিত সংক্রমণ প্ৰতিরোধে চিকিৎসা গাইডলাইন তৈরি ও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা অন্তর্ভুক্তকরণ, প্রয়োজনীয় ওষুধ সংরক্ষণ এবং স্টেরয়েডের যৌক্তিক ব্যবহারের সুপারিশ করেছে করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
কারিগরি কমিটির এক অনলাইন বৈঠকে মঙ্গলবার এ সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস একটি ফাঙ্গাসজনিত সংক্রমণ, যা নতুন নয়। এই সংক্রমণ আগেও দেখা গেছে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্টেরয়েড মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে ডায়াবেটিস বাড়িয়ে দেয়। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ দেখা যেতে পারে।
পরামর্শক কমিটি করোনার চিকিৎসা গাইডলাইনে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা অন্তর্ভুক্ত করা, প্রয়োজনীয় ওষুধের মজুত ও স্টেরয়েডের যৌক্তিক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে।
ভারতের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমণের সঙ্গে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত ইন্ডাস্ট্রিয়াল অক্সিজেনের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশেও ইন্ডাস্ট্রিয়াল অক্সিজেন ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে, এ জন্য এখনই এসওপি প্রস্তুত করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ভারতে প্রথম ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের বিষয়টি দেখা যায়। দেশটিতে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ে এই ছত্রাকের সংক্রমণ। পরে ভারত সরকার এ রোগকেও মহামারি ঘোষণা করে।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত দুজনের শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। এর মধ্যে একজনের মৃত্যুও হয়েছে।
এরপরই দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় ওষুধ বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, দেশে রোগটির চিকিৎসায় পর্যাপ্ত ওষুধ তৈরি করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
কেউ যেন সুযোগ নিয়ে ওষুধের দাম বাড়াতে না পারে, সে বিষয়েও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।