বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শর্তে হলেও পর্যটনকেন্দ্র খোলা চায় টোয়াব

  •    
  • ২ জুন, ২০২১ ০৮:৫৩

টোয়াব জানায়, চলতি বছরের মার্চ থেকে স্থবির হওয়ায় পর্যটনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অনেক। এই পরিস্থিতি জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকলে ট্যুর অপারেটরদের ক্ষতি হবে প্রায় ছয় হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ডিসেম্বর থাকলে ক্ষতি দাঁড়াতে পারে নয় হাজার কোটি টাকায়।

করোনাভাইরাস সংক্রমণে স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের পর্যটন খাত। দুই দফায় বিধিনিষেধে কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এ খাতের ক্ষতি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা। বিধিনিষেধ আরও দীর্ঘায়িত হলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। তাই শর্ত দিলে হলেও পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে এ খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ বা টোয়াব।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টোয়াব জানায়, করোনার প্রথম ঢেউয়ের পর দেশের পর্যটন খাত আভ্যন্তরীণ পর্যটনের মাধ্যমে কিছুটা ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টার মধ্যেই দ্বিতীয় ঢেউ হানা দিয়েছে। এতে পর্যটন শিল্প আবার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। গত বছর করোনায় পর্যটন খাতের ক্ষতির পরিমাণ ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি। শুধু টোয়াব সদস্যদের ক্ষতি হয়েছে পাঁচ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

সংগঠনটি জানায়, চলতি বছরের মার্চ থেকে স্থবির হওয়ায় পর্যটনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অনেক। এই পরিস্থিতি জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকলে ট্যুর অপারেটরদের ক্ষতি হবে প্রায় ছয় হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ডিসেম্বর থাকলে ক্ষতি দাঁড়াতে পারে নয় হাজার কোটি টাকায়।

টোয়াব বলছে, পর্যটন খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। করোনাকালীন সময়ে প্রায় সব টোয়াব সদস্যদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও উচ্চ ট্রেড লাইসেন্স রিনিউয়াল ফি দিতে হচ্ছে। আবার কিন্তু ট্যুর অপারেটরদের জন্য কোনো প্রণোদনার ব্যাবস্থা নেই। টোয়াব সদস্যদের অনেকেই হতাশ হয়ে পর্যটন সেবা থেকে অন্য ব্যবসায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত কয়েক লাখ মানুষের বেকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

টোয়াব সভাপতি রাফেউজ্জামান স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে পর্যটন শিল্পকে ধ্বংস থেকে রক্ষায় বেশ কিছু দাবি করা হয়েছে।

এসব দাবির মধ্যে রয়েছে, পরিবহণ, দোকানপাট ও অন্য সেবার মতো পর্যটনকেন্দ্রগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধারণক্ষমতার ৫০ ভাগ পর্যটক সেবা দেয়ার শর্তে দ্রুত খুলে দিতে হবে।

ট্যুর অপারেটরদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে।

পরের বছরের জন্য ট্রেড লাইসেন্স রিনিউয়াল ফি মওকুফ করতে হবে।

টোয়াব সদস্যদের ও টোয়াবের সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকাদানের ব্যবস্থা করতে হবে।

পর্যটন শিল্পের যথাযথ উন্নয়ন ও বিকাশে শুধু পর্যটনের স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর