দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট রোধে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণরূপে বন্ধের জন্য কঠোর নজরদারির ও টহল বাড়ানোর সুপারিশ করেছে কোডিভ-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
মঙ্গলবার কারিগরি কমিটির এক অনলাইন মিটিং শেষে এই সুপারিশ করা হয়। মিটিয়ে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা। মিটিং শেষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের সার্বিক কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে; বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকাতে সংক্রমণ উচ্চ হারে বেড়েছে। এ ছাড়া আরও কিছু জেলায় উচ্চ সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে কমিউনিটি পর্যায়ে ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এটি বাড়লে হলে চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য বড় রকমের চ্যালেঞ্জ হতে পারে। যেমনটি বিভিন্ন উন্নত দেশে দেখা গেছে।
‘সাম্প্রতিককালে ভারত এই চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় সংক্রমণ প্রতিরোধের কোনো বিকল্প নাই এবং এতে জনপ্রশাসনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এ জন্য সীমান্তের জেলাগুলোতে অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণরূপে বন্ধের জন্য কঠোর নজরদারি ও টহল বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।’
এ ছাড়া সীমান্তবর্তী জেলা ও উচ্চ সংক্রমিত এলাকায় অঞ্চলভিত্তিক সম্পূর্ণ লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সংক্রমণের উচ্চ হার বিবেচনায় সীমান্ত এলাকাগুলো অধিক ঝুঁকিতে রয়েছে, সীমান্তবর্তী জেলা ও উচ্চ সংক্রমিত এলাকায় অঞ্চলভিত্তিক সম্পূর্ণ লকডাউন দেয়া। জরুরি সেবায় নিয়োজিত ছাড়া সব জনগণের বাড়িতে থাকার আশ্বাস দেয়া। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় কার্যক্রম গ্রহণে স্থানীয় প্রশাসনকে ক্ষমতা দেয়া। সমান্তবর্তী সব জেলাসহ উচ্চ সংক্রমিত এলাকা থেকে আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ করা। জেলাপর্যায়ে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বিধিনিষেধ পালনে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে জনপ্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সময় অত্যন্ত জরুত্বপূর্ণ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিধিনিষেধ নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্য কঠোর মনিটরিং জোরদার
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বিধিনিষেধের প্রয়োগ অব্যাহত রাখা এবং বিজ্ঞানভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ নিশ্চিত করা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সারাদেশে যে চলমান সরকারি বিধি নিষেধ কঠোর ভাবে পালন কতে হবে। সঠিক ভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরতে হবে। রোস্তাঁরাতে বসে খাওয়ার ববস্থা বন্ধ করা,টেক অ্যাওয়ে ব্যবস্থা চলতে পারে।
সংক্রমণ রোধে সকল প্রকার সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জনসমাবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা, পর্যটন স্থান বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ রাখা।