চাঁদপুর জেলায় করোনাভাইরাসের টিকা ফুরিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে টিকাদান কর্মসূচি।
টিকার মজুত শনিবার শেষ হওয়ায় রোববার থেকে স্থগিত রাখা হয় টিকাদান।
জেলা সিভিল সার্জন শাখাওয়াত উল্লাহ নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, টিকা ফুরিয়ে যাওয়ায় প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণকারী ১৪ হাজার ১২১ জন দ্বিতীয় ডোজের টিকা নির্ধারিত সময়ে নিতে পারছেন না। টিকাদান কবে শুরু হবে তারও নিশ্চিয়তা দিতে পারছে না স্বাস্থ্য বিভাগ।
চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলায় প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৬০ হাজার ৩৯০ জন। যার মধ্যে পুরুষ ৩৭ হাজার ৭১৫ জন ও নারী ২২ হাজার ৬৭৫ জন।
দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে পেরেছেন ৪৬ হাজার ২৬৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৮ হাজার ৭৪৫ জন, নারী ১৭ হাজার ৫২৪ জন।
দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে আসা বিষ্ণুদী আজিজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষিকা খোজেদা আক্তার লাকী বলেন, ‘দ্বিতীয় ডোজের টিকা দিতে এসে জানতে পারি টিকা ফুরিয়ে গেছে। কবে নাগাদ টিকা দিতে পারব তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।’
নির্ধারিত সময়ে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে না পারলে তা কাজ করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন বলেন, ‘প্রথম ডোজের টিকা নেয়ার পর চার মাস পর্যন্ত এর কার্যকারিতা থাকে। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দিতে পারলে তা পুরোপুরি কাজ করবে। এই সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের টিকা না নিতে পারলে নতুন করে দুই ডোজ টিকা নেয়া লাগবে।’
চাঁদপুরে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৭৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে চাঁদপুর সদরে ২ হাজার ১৬৯ জন, হাইমচরে ২৩৭ জন, মতলব উত্তরে ২৯০ জন, মতলব দক্ষিণে ৪১৮ জন, ফরিদগঞ্জে ৫১৩ জন, হাজীগঞ্জে ৪৬৮ জন, কচুয়ায় ১৬৯ জন ও শাহরাস্তিতে ৪১৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১২২ জনের। বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ২২০ জন।