বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফাইজারের টিকাও পাবেন শিক্ষার্থীরা

  •    
  • ৩১ মে, ২০২১ ১৭:৩৮

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘ফাইজারের যে টিকা আসছে এটা স্বাভাবিক নিয়মে দেয়া হবে। যারা নিবন্ধন করেছেন তাদের দিয়ে শুরু হবে। তালিকা অনুযায়ী যদি কোনো শিক্ষার্থী পড়ে, তাহলে তাদেরকে আর একটু অগ্রাধিকার দেয়ার চেষ্টা করব ফাইজার টিকার ক্ষেত্রেও।’

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার ১ লাখ ৬২০ ডোজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘ফাইজারের যে টিকা আসছে এটা স্বাভাবিক নিয়মে দেয়া হবে। যারা নিবন্ধন করেছেন তাদের দিয়ে শুরু হবে। তালিকা অনুযায়ী যদি কোনো শিক্ষার্থী পড়ে তাহলে তাদেরকে আর একটু অগ্রাধিকার দেয়ার চেষ্টা করব ফাইজার টিকার ক্ষেত্রেও।’

‘শিক্ষার্থীরা যাতে তাড়াতাড়ি লেখাপড়াটা শুরু করতে পারে, সেই দিকে আমরা বেশি মনোযোগী হব। অবশ্যই অন্য যারা আছেন তারাও এই টিকা পাবেন। কারণ পর্যায়ক্রমে টিকা আসতে থাকবে।’

তিনি বলেন, আমরা চাই প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে লেখাপড়া শুরু করুক।

সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ মিলে কয়েক লাখ শিক্ষার্থী হলেও তাদের সবাইকে টিকা দেয়া সম্ভব হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। চীনের টিকা আমরা দেড় কোটি অর্ডার করেছি। তার মানে ২ ডোজ করে হলে আমরা ৭৫ লাখ মানুষকে দিতে পারব। রাশিয়ার কাছে আমরা ওরকম আশা করছি।

ন্যায্যতার ভিত্তিতে বিশ্বের সব দেশে করোনার টিকা নিশ্চিতের প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশকে।

কোভ্যাক্স প্ল্যাটফর্মটি গড়ে তোলা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস (গ্যাভি) এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের (সিইপিআই) উদ্যোগে।

এই জোটের মাধ্যমে প্রতিটি দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য বিনা মূল্যে টিকার ব্যবস্থা করার কথা। কোভ্যাক্স থেকে প্রথম পর্যায়ে ১ কোটি ২৭ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু বিশ্বজুড়ে টিকার সংকট দেখা দেয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ফাইজারের ডোজগুলো সংরক্ষণ করতে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৯০ ডিগ্রি তাপমাত্রার রেফ্রিজারেটর দরকার। ২ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা যাবে পাঁচ দিন। আর রেফ্রিজারেটরের বাইরে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা যাবে দুই ঘণ্টা।

উৎপাদক প্রতিষ্ঠান দাবি করছে, কার্যকারিতার দিক থেকে ফাইজারের টিকা করোনা প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। তবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড, সিনোফার্মের টিকা বিবিআইবিপি-করভি, রাশিয়ার স্পুৎনিক-ভির মতো ফাইজারের টিকাও নিতে হয় দুই ডোজ করে।

এ বিভাগের আরো খবর