মাগুরায় করোনার টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ২০ হাজার মানুষ দ্বিতীয় পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
করোনা টিকার মজুত শেষ হওয়ায় রোববার থেকে জেলায় টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার টিকা নিতে গিয়ে অনেকেই ফিরে গেছেন। দ্বিতীয় ডোজের টিকা না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন অনেকেই।
সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, মাগুরা জেলায় করোনা টিকা নিতে নিবন্ধন করেছেন ৭৯ হাজার ৯০৫ জন। গত ২৪ জানুয়ারি থেকে মাগুরা সদর হাসপাতাল, শ্রীপুর, মহম্মদপুর ও শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ছয়টি বুথে একযোগে করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
টিকার মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। জেলায় প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৪৮ হাজার ৪৪৫ জন। ২৮ হাজার ৫৯৬ জন নিয়েছেন দ্বিতীয় ডোজের টিকা। এরপরই টিকার মজুত শেষ হয়ে যায়। সেই হিসাবে নিবন্ধিত ১৯ হাজার ৮৪৯ জন দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।
সোমবার মাগুরা সদর হাসপাতালের করোনা টিকাদান বুথ ছিল ফাঁকা।
টিকা নিতে বেরইল গ্রামের তাপস বিশ্বাস বলেন, ‘রোববার মোবাইল ফোনে টিকা নেয়ার তারিখ জানিয়ে বার্তা দিল। হাসপাতালে এসে দেখি টিকা দেয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কবে টিকা পাব তাও কেউ খুলে বলছে না।’
সিভিল সার্জন শহীদুল্লাহ দেওয়ান নিউজবাংলাকে জানান , জেলায় ৭৮ হাজার ২৫০ ভায়াল করোনা টিকা বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছিল; তা শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে রোববার থেকে জেলায় করোনা টিকা কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই আবার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। তবে, কবে নাগাদ তা আসবে, তা তিনি জানাতে পারেননি।
মাগুরায় ৩০ মে পর্যন্ত ৭ হাজার ৮৮২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ১ হাজার ২৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৫.৯ শতাংশ। তাদের মধ্যে ১ হাজার ২৩০ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন। আর করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ২৪ জন। সংক্রমণের তুলনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৯১।