বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চাঁপাইনবাবনগঞ্জ থেকে ৬৯ জন মৌলভীবাজারে, বসতি লকডাউন

  •    
  • ৩১ মে, ২০২১ ১৪:৩৬

শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান এলাকায় একটি কলোনিতে গিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৪ জনের করোনা পরীক্ষা করালে তাদের মধ্যে ১৪ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাদের দেয়া তথ্যের জানা যায়, জেলা সদরের বড়কাপন ও গুজারাই এলাকায় তাদের মতো আরও ৭১ জন অবস্থান করছেন। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলমান বিশেষ লকডাউনের মধ্যে সেখান থেকে মৌলভীবাজার যাওয়ায় ৬৯ জনের আবাসস্থল লকডাউন করেছে প্রশাসন। করোনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে তাদের নমুনা।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কার্যালয়ের সূত্রমতে, গত ১৮ ও ১৯ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ৭১ জন প্লাস্টিক ফেরিওয়ালা ব্যবসার কাজে মৌলভীবাজার যান। তারা জেলা সদর ও শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন এলাকায় কলোনিতে অবস্থান করছিলেন।

খবর পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ গত ২৯ তারিখ শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান এলাকায় একটি কলোনিতে গিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৪ জনের করোনা পরীক্ষা করালে তাদের মধ্যে ১৪ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাদের দেয়া তথ্যের জানা যায়, জেলা সদরের বড়কাপন ও গুজারাই এলাকায় তাদের মতো আরও ৭১ জন অবস্থান করছেন।

ওই দুই এলাকার পাঁচটি কলোনিতে গিয়ে পাওয়া যায় ৬৯ জনকে। তারা যেসব ঘরে থাকছিলেন, সেগুলো সোমবার সকালে লকডাউন করে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্যকর্মীরা।

সদর উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মীরা সোমবার সকালে ৬৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করেন। মঙ্গলবার রিপোর্ট পাওয়া যাবে বলে জানায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টেকনিশিয়ান শামছুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, চাঁদনীঘাটের গুজরাইতে তিনি ছয়জনের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। দুইজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। আর বড়কাপন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

এই ফেরিওয়ালাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন ধরেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে মৌলভীবাজার গিয়ে গিয়ে ব্যবসা করছেন।

তাদের একজন কবির মিয়া নিউজবাংলাকে জানান, ঈদের সময় বাড়িতে গিয়েছিলেন। ঈদের পরপরই ট্রাকে করে মৌলভীবাজারে চলে আসেন তারা। তখন চাঁপাইনবাবগঞ্জ অবরুদ্ধ ছিল না।

তারা মৌলভীবাজার এসে গ্রামে ও শহরের বিভিন্ন জায়গায় ফেরি করে প্লাস্টিক সামগ্রী বিক্রি করেছেন। কারো মধ্যেই করোনার লক্ষণ নেই বলে তাদের দাবি।

জেলা সিভিল সার্জন চৌধুরী জালালউদ্দিন মোর্শেদ নিউজবাংলাকে জানান, তিনি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে যাদের পজিটিভ আসবে, তারা ভারতীয় ভেরিয়েন্টের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর