চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলমান বিশেষ লকডাউন আরও সাতদিন বাড়িয়েছে প্রশাসন। এই লকডাউন চলবে ১ জুন থেকে ৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত।
নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সোমবার দুপুর ১টার দিকে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ। জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভা শেষে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমাদের সংক্রমণের হার কিছুটা নিম্নমুখী। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতেই আমরা আরও সাত দিনের লকডাউন বাড়িয়েছি। আশা করি পরিস্থিতি আগামীতে আরও উন্নত হবে। আমরা এর আগে সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করি, জেলাবাসী তা মেনে নেন। এবারও মানুষ লকডাউনের সিদ্ধান্তে আমাদের সঙ্গে একমত হবেন বলে আশা করছি। '
চলমান লকডাউনের মতোই বর্ধিত সাত দিনেও ১১টি বিধিনিষেধ মানার কথা উল্লেখ করেছেন জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল। এবারও আমকেন্দিক সব কার্যক্রম লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে অন্য জেলা থেকে আম ব্যবসায়ীরা আম কেনার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জেও আসতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলার সিভিল সার্জন জাহিদ নজরুল চৌধুরী, পুলিশ সুপার (এসপি) এইচ এম আব্দুল রকিব।
এর আগে, করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় গত মঙ্গলবার থেকে সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মঞ্জুরুল হাফিজ।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে লকডাউন সর্বাত্মকভাবেই কার্যকর হয়েছে। সাধারণ মানুষ তাদের নিজেদের নিরাপদ রাখার জন্যই এটাকে মেনে নিয়েছেন।'
রোববার ২৪ ঘণ্টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন করে ৯৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আরটিপিসিআর ল্যাবে ৬৩ জনের নমুনায় ৪৫ জনের করোনা পজিটিভ আসে। বাকিদের করোনা শনাক্ত হয় স্থানীয়ভাবে করা র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে।
চলমান লকডাউনের সপ্তম দিনেও মাঠে রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। জেলাজুড়ে বসানো পুলিশের ৫০টি চেক পোস্টে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে সাধারণ মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউই বাড়ির বাইরে থাকতে পারছেন না। লকডাউনের বিধিনিষেধ অমান্য করা অনেককেই গুনতে হচ্ছে জরিমানা। পুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালতও কাজ করছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সিভিল সার্জন জাহিদ নজরুল চৌধুরী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে এ ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের হার কমানো কঠিন হয়ে পড়বে।’
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় কেউ মারা যাননি। এ পর্যন্ত এ জেলায় করোনায় মারা গেছেন ৩২ জন।