ভারতে ৫০ দিন পর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে দুই লাখের কম মানুষের দেহে।
দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৭৩৪ জন।
এ নিয়ে ভারতে মোট শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৮০ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৪ রোগী।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনায় মুত্যু হয়েছে আরও ৩ হাজার ১২৮ জনের। এতে দেশটিতে ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২৯ হাজার ১০০ জনে।
ভারতে দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়তে থাকে মার্চের শেষ দিক থেকে। পুরো এপ্রিল ও মে মাসজুড়ে ছিল দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড। ১৪ এপ্রিল দেশটিতে এক দিনে করোনা শনাক্ত হয় সর্বোচ্চ ৪ লাখ ১৪ হাজার ব্যক্তির।
এ ছাড়া সে সময় টানা কয়েক দিন সংক্রমণ চার লাখের বেশি ছিল।
সংক্রমণ বাড়তে থাকলে আলাদা আলাদা করে রাজ্যগুলোতে লকডাউন দিতে থাকে স্থানীয় সরকারগুলো।
মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তামিলনাড়ু, কেরালা, কর্ণাটক, উত্তর প্রদেশ, অসমে লকডাউন দেয়া হয়। সংক্রমণ কমতে থাকলে লকডাউন শিথিল করা শুরু হয়।
গত দেড় মাস পর মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ ২০ হাজারের নিচে নেমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যটিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে ১৮ হাজার ৬০০ জনের মধ্যে। তামিলনাড়ুতেও সংক্রমণ নেমেছে ৩০ হাজারের নিচে।
সংক্রমণ কমেছে কর্ণাটক, কেরালা, অন্ধ্র প্রদেশেও; কমেছে মৃত্যুও।
পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ধরা পড়েছে ১১ হাজার ২৮৪ জনের দেহে। এ সময় করোনায় মারা গেছে আরও ১৪২ জন।