করোনাভাইরাস প্রতিরোধে রাশিয়া থেকে টিকা কেনার বিষয়ে এ সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে সচিব পর্যায়ের জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
‘একটা সিদ্ধান্ত হয়তো হবে। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা পাঠাব। ফাইনাল সিদ্ধান্ত কী হবে সেটা এ মুহুর্তে বলতে পারছি না।’
মহাপরিচালক বলেন, ‘রাশিয়ার টিকার বিষয়ে আমরা চিঠি লিখেছি তাদের। তারা আবার আমাদের জানিয়েছে। কিছু তথ্য দিয়েছে। সেটা আমরা তাদের আবার রিপ্লাই দেব দু-চার দিনের মধ্যে। তারপর হয়তো একটা সিদ্ধান্ত হবে।’
গত শুক্রবার রাশিয়া থেকে টিকা কিনতে ভার্চুয়াল বৈঠক নিয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘যে প্রস্তাবগুলো তারা দিয়েছে সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা তাদের রিপ্লাই দেব।’
রাশিয়া থেকে টিকা কিনতে কেমন খরচ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'কত টাকায় কেনা হবে সে বিষয়ে কোনো ধরনের দরদাম হয়নি।'
বাংলাদেশের পক্ষে কোনো দাম প্রস্তাব করা হয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হয় তার কাছে। তিনি বলেন, 'এখনো কোনো প্রকার দাম নির্ধারণ করা হয়নি।'
ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত অক্সফোর্ড আস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে সব শেষ অবস্থা জানতে চাইলে খুরশীদ আলম বলেন, ‘এটা নিয়ে এখনো আমার কাছে কোনো তথ্য নাই।’
ভারত থেকে কি টিকা আর আসবে না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা দেবে না এটা কখনও বলেনি। ফ্রম দ্য বিগেনিং, তারা বলেছে আমরা দেব। এখনও বলছে দেবে।’
প্রতিবেশী ভারতের সীমান্তবর্তী পাঁচটি জেলায় লকডাউন দিতে জাতীয় কারিগরি কমিটির সুপারিশের সবশেষ অবস্থা নিয়েও জানতে চাওয়া হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে।
তিনি বলেন, ‘গত সাত দিনের ইনফেকশনের পরিসংখ্যানটা আমি তুলে ধরেছিলাম। ওনারা দেখেছেন এবং বলেছেন আমরা আপনাদের জানাব।’
লকডাউন বাস্তবায়ন নিয়ে জানতে চাইলে আবুল বাশার বলেন, ‘সম্ভবত স্থানীয় পর্যায়ে এটা করা হবে, যদ্দুর মনে হলো। কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত হয়নি।’
স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন কবে নাগাদ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা নিশ্চিতভাবে এখন বলতে পারছি না।’
যেসব প্রবাসী বাঙালি কাজ করার জন্য দেশের বাইরে যাবেন তাদের প্রত্যেককে টিকার আওতায় আনা হবে বলেও জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। বলেন, ‘টিকা পাওয়া সাপেক্ষে আমরা সবাইকে টিকা দেব।’