ভারতে টানা তৃতীয় দিনের মতো দুই লাখের কম মানুষের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ধীরে ধীরে বিভিন্ন রাজ্যে শিথিল করা হচ্ছে লকডাউন। তবে দেশটিতে কমছে না মৃতের সংখ্যা।
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৫৩ জনের দেহে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৭৮ হাজার ৯৪ হাজার ৮০০ জন।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোরবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনায় মুত্যু হয়েছে আরও ৩ হাজার ৪৬০ জনের। এতে দেশটিতে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৭২ জনে।
ভারতে দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়তে থাকে মার্চের শেষ দিক থেকে। পুরো এপ্রিল ও মে মাসে দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে। ১৪ এপ্রিল দেশটিতে এক দিনে শনাক্ত হয় সর্বোচ্চ ৪ লাখ ১৪ হাজার জনের।
এ ছাড়া সে সময় টানা কয়েক দিন সংক্রমণ চার লাখের বেশি ছিল। আর টানা ৪১ দিন পর দেশটিতে সংক্রমণ দুই লাখের নিচে নামে গত সপ্তাহের শেষে।
সংক্রমণ বাড়তে থাকলে আলাদা আলাদা করে রাজ্যগুলোতে লকডাউন দিতে থাকে স্থানীয় সরকারগুলো। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তামিলনাড়ু, কেরালা, কর্ণাটক, উত্তর প্রদেশ ও অসমে লকডাউন দেয়। সংক্রমণ কমতে থাকলে শিথিল করা শুরু হয় লকডাউন।
তবে দিল্লিতে নতুন করে আরও সাত দিনের লকডাউন থাকার কথা জানায় রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গেও সংক্রমণ বাড়তে থাকায় লকডাউন দেয়া হয়, যা আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
মাহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ ও কেরালায় শিথিল করা শুরু হয়েছে লকডাউন।