গত ২৪ মে করোনার পরীক্ষা করে আসে ফল। পরের দিনই আবার দেয়া নমুনায় ফলাফল আসলো উল্টো। এবার তিনি করোনা নেগেটিভ।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে এমন ফলাফল মিলেছে। এঅবস্থায় রোগী কোন নিয়মে চলাফেরা করবে এনিয়েই চিন্তিত।
ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে গত ২৪ মে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন জেলার গোদাগাড়ী এলাকার আফতাব উদ্দিন।
তাকে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। সেদিনই নমুনা নেয়া হয় করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে এই পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু ফলাফল পেতে কিছুটা দেরি হচ্ছিল।
২৪ মে ফলাফল না পেয়ে ২৫ মে আবারো নমুনা নেয়া হয়। ২৫ মে রাতেই আগের দিনের নেয়া নমুনার ফল জানানো হয় আফতাব উদ্দিনের স্বজনদের। জানানো হয় তার করোনা পজেটিভ হয়েছে। করোনার চিকিৎসাও শুরু করেন স্বজনরা।
তবে ২৬ মে হাসপাতাল থেকে আফতাব উদ্দিনকে ছুটি দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলা হয়।
করোনা ধরা পড়ার পরও চিকিৎসা না দিয়ে বাড়ি যেতে বলছেন কেন- জানতে চাইলে করোনা ওয়ার্ড থেকে বলা হয়, রোগীর অবস্থা ভালো আছে, বাড়িতেই যেন চিকিৎসা করান।
আফতাব উদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলাম জানান, ২৬ মে বিকেলে বাবাকে নিয়ে বাড়িতে চলে যান। করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে যে ধরনের সতর্কতা বা চিকিৎসা দরকার সেসবই শুরু করেন।
কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে পরের নমুনার ফলাফল জানতে পারেন তারা। তাদের মোবাইল ম্যাসেজে জানানো হয়, তার বাবার করোনা রেজাল্ট নেগেটিভ।
আশতাব উদ্দিনের করোনা হয়নি শুনে স্বজনরা খুশি হলেও প্রশ্ন জাগে একদিন পরেই আলাদা ফল এলো কী করে?
তাহলে কি এক দিনেই করোনা জয় করেছেন আফতাব উদ্দিন? নাকি ভুল ফলাফল হয়েছে ?
শরিফুল ইসলাম জানান, এই দোটানা অবস্থার মধ্যে তিনি করোনা বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বরে কল দেন। তাদের কাছেই জানতে চান কী করবেন?
সেখান থেকে দুই রকমের ফলাফল সম্পর্কে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। বরং হাসপাতাল থেকে দেয়া ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধগুলো চালিয়ে যাবার জন্য বলা হয়।
হাসপাতালের যে বক্তব্য
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ও বিভাগীয় ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস এম হাসান এ লতিফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটি অনেক কারণে হতে পারে। কোনো টেস্টই শতভাগ হয় না। আমাদের ল্যাবের শতকরায় দুই একটি এ রকম হতে পারে। এজন্য কেউ শতভাগ নিশ্চিত হতে চাইলে তাকে দুইবার টেস্টের দরকার।
‘স্যাম্পল দেয়ার সময় পরিস্কার, গল-নাকে গড়গড়া করে আসলে এমনটি হতে পারে। কখনও কখনও নমুনায় ভুলের জন্যও এটা হতে পারে। এটি শুধু আমাদের টেস্টেই না সব পরীক্ষাতেই এটা হয়ে থাকে।’