ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সুস্থ মানুষের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। কিন্তু কোনো কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে গেলেই কেবল এই সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়টির ডা. মিলটন হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এই রোগ বহু আগে থেকেই ছিল এবং এটা ছোঁয়াচে নয়। এটা এমন একটা জীবাণু বা ফাঙ্গাস (ছত্রাক), যা মাটি, পানি ও বাতাসে ছড়িয়ে থাকলেও সংক্রমণক্ষমতা খুবই কম।
তিনি বলেন, এই ছত্রাক প্রাণীদের বিষ্ঠায়, বাসি খাবার, বাসি ফল, দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষিত খাদ্যসামগ্রী, অপরিষ্কার মাস্ক, অক্সিজেন ও আইসিইউর হিউমিডিফায়ারের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে। তবে সুস্থ মানুষের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। কিন্তু কোনো কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে গেলেই কেবল এই সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যেটা ১ লাখে ২০ থেকে ৩০ জনের হতে পারে।
তিনি বলেন, যারা অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে ভুগছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন, ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী, অতিরিক্ত ব্রড-স্পেকট্রাম অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, অত্যধিক স্টেরয়েড গ্রহণ করা রোগী, কিডনি বা অন্য অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা রোগী এবং চরম অপুষ্টিজনিত রোগীদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের রাইনো অরবিটাল সেরিব্রাল ধরনটি নাক দিয়ে ঢুকে চোখ ও মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে। এই রোগের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে লাইপোসোমাল এমফোটেরিসিন-বি ইনজেকশনের পর্যাপ্ত জোগান নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পারস্পরিক সহযোগিতায় গবেষণামূলক কার্যক্রমের সক্ষমতা বৃদ্ধি, করোনাভাইরাসসহ বিভিন্ন বিষয়ে চলমান গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া নিয়ে আলোচনা হয়।