বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনার উৎস: যুক্তরাষ্ট্রের আরও তদন্তের সমালোচনা চীনের

  •    
  • ২৭ মে, ২০২১ ১৯:৪৪

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, তথ্য বা সত্যের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আস্থা নেই। করোনার উৎস অনুসন্ধানে বিজ্ঞানভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা নিয়েও দেশটির কোনো আগ্রহ নেই।’

উহানের গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল কি না, তা আরও তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে চীন।

বৃহস্পতিবার বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, তথ্য বা সত্যের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আস্থা নেই। করোনার উৎস অনুসন্ধানে বিজ্ঞানভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা নিয়েও দেশটির কোনো আগ্রহ নেই।’

তিনি বলেন, ‘কলঙ্ক রটিয়ে, রাজনৈতিক কারসাজির আশ্রয় নিয়ে এবং অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাতে মহামারিকে ব্যবহার করাই যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য। তারা বিজ্ঞানের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল, মানুষের জীবনের প্রতি দায়িত্বজ্ঞানহীন ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্মিলিত উদ্যোগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী।’

ভুল তথ্য ছড়ানোর ‘কালো ইতিহাস’ যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের নভেম্বরে উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির তিন সদস্য অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এ ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পর ডিসেম্বরের শেষদিকে চীন সরকার প্রথম দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর বিশ্বকে জানায়।

ওই প্রতিবেদনের পর বুধবার করোনার উৎস নিয়ে তিন মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

২০১৯ সালে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হয়েছিল করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ কোটি ৮০ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে কমপক্ষে ৩৫ লাখ।

করোনাভাইরাস প্রাণী থেকে নাকি গবেষণাগারের দুর্ঘটনার পর মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে ক্ষমতায় আসার পরই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বাইডেন।

চলতি মাসে ওই সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাতে পান বাইডেন। কিন্তু সেটিকে ‘অসম্পূর্ণ’ উল্লেখ করে এ বিষয়ে আরও সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত জানতে দ্বিতীয় তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন তিনি।

এ নিয়ে বাইডেন বলেন, ‘আমি এখন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে তাদের চেষ্টা দ্বিগুণ করে আরও বেশি তথ্য সংগ্রহ এবং তা বিশ্লেষণ শেষে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। ৯০ দিনের মধ্যে আমাকে প্রতিবেদন জমা দিন। আশা করছি, এর মাধ্যমে একটি সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর