বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চীনের টিকার দাম সিরামের দ্বিগুণের বেশি

  •    
  • ২৭ মে, ২০২১ ১৪:৫৩

চীনের টিকার প্রতি ডোজ কিনতে ১০ ডলার দিতে হবে বাংলাদেশকে, যা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত টিকার ‍দ্বিগুণের বেশি। সিরামের কাছ থেকে প্রতি ডোজ ৪ ডলারে কিনছে বাংলাদেশ।

চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সিনোফার্ম উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার দেড় কোটি ডোজ কিনবে সরকার।

এ টিকার প্রতি ডোজ কিনতে ১০ ডলার দিতে হবে বাংলাদেশকে, যা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত টিকার ‍দ্বিগুণের বেশি।

সিরামের কাছ থেকে প্রতি ডোজ ৪ ডলারে কিনছে বাংলাদেশ।

ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আকতার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে টিকা কেনা ও দামের বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি জানান, চীন থেকে প্রতি চালানে ৫০ লাখ করে তিন ধাপে দেড় কোটি ডোজ করোনার টিকা কেনার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক ডোজ টিকা ১০ ডলার ধরে হিসাব করলে দেড় কোটি ডোজ আনতে সরকারের খরচ হবে ১ হাজার ২৬৭ কোটি টাকা। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এ টিকা কেনা হবে।

এর আগে গত সপ্তাহে অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে চীন থেকে টিকা কেনার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু কত দামে কেনা হবে, এর জন্য কত ব্যয় হবে, সে সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি।

আজকের বৈঠকে এ-সংক্রান্ত দর প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

ড. শাহিদা আকতার সাংবাদিকদের জানান, চীন থেকে টিকার প্রথম চালান আসবে জুন মাসে। এরপর জুলাই ও আগস্টে অবশিষ্ট সব টিকা আমদানি করা হবে।

গত ১৩ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বলেছিলেন, ‘বিভিন্ন দেশ থেকে আমরা এক কোটি টিকা কেনার ব্যবস্থা করেছি। খুব শিগগির দেশে টিকা আসতে শুরু করবে।’

এরই ধারাবাহিকতায় চীনের সিনোফার্ম থেকে টিকা কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে সরকার।

এরই মধ্যে ঔষধ প্রশসন অধিদপ্তর সিনোফার্মের টিকা ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে।

করোনাভাইরাসের প্রথম ধাক্কা সামাল দেয়ার সময় গত বছরের নভেম্বরে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে বেক্সিমকো ফার্মাকে যুক্ত করে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে বাংলাদেশ।

দুই দফায় সিরাম ৭০ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর পর রপ্তানি বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশ বেকায়দায় পড়ে যায়।

ভারতে করোনা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটায় টিকা রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এতে করে ফেব্রুয়ারিতে চালু হওয়া বাংলাদেশের গণটিকাদান কর্মসূচি মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।

পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের লক্ষ্যে এপ্রিলের শেষে এবং মে মাসের শুরুতে যথাক্রমে রাশিয়ার স্পুৎনিক-ভি ও চীনের সিনোফার্মের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।

চীন ১২ মে বাংলাদেশকে সিনোফার্মের পাঁচ লাখ টিকা উপহার হিসেবে দিয়েছে। আরও ছয় লাখ টিকা উপহার হিসেবে পাওয়ার কথা।

এ বিভাগের আরো খবর