বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাবনায় বন্ধ টিকা, দ্বিতীয় ডোজ পাচ্ছেন না ৩৫ হাজার

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৭ মে, ২০২১ ১১:০০

পাবনার জন্য বরাদ্দ টিকার মজুত ২০ মে শেষ হয়ে যাওয়ায় ২১ মে থেকে জেলায় করোনা টিকা দেয়ার কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। টিকার কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় প্রথম ডোজ টিকা নেয়া ৩৫ হাজার ১৫৮ জন ব্যক্তি দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে পারেননি।

পাবনা শহরের পৈলানপুর এলাকার স্কুলশিক্ষক মুসলিমা খাতুন পাবনা জেনারেল হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্র থেকে করোনার টিকার প্রথম ডোজটি নেন গত ১৮ মার্চ। নিয়ম অনুযায়ী মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই পাওয়ার কথা দ্বিতীয় ডোজ।

এর জন্য মোবাইলে মেসেজের অপেক্ষা করতে থাকেন। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও মেসেজ না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন মুসলিমা। স্বাস্থ্য বিভাগে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, পাবনায় টিকা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

মুসলিমার মতো ৩৫ হাজারের বেশি গ্রহীতা দ্বিতীয় ডোজ আপাতত পাচ্ছেন না। প্রথম ডোজই পাননি ৮২ হাজার নিবন্ধিত ব্যক্তি।

জেলা সিভিল সার্জন মনিসার চৌধুরী জানিয়েছেন, নতুন করে সরবরাহ আসার পর আবার টিকার কার্যক্রম শুরু করা হবে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পাবনার জন্য বরাদ্দ টিকার মজুত ২০ মে শেষ হয়ে যাওয়ায় ২১ মে থেকে জেলায় করোনা টিকা দেয়ার কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। টিকার কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় প্রথম ডোজ টিকা নেয়া ৩৫ হাজার ১৫৮ ব্যক্তি দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে পারেননি।

মনিসার চৌধুরী বলেন, দুই দফায় পাবনায় ১ লাখ ২৫ হাজার ডোজ করোনার টিকা বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দ টিকাগুলোর মধ্যে ২০ মে পর্যন্ত ৮০ হাজার ২৪৪ জনকে প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়। একই সময়ে ৪৫ হাজার ৮৬ জনকে দেয়া হয় দ্বিতীয় ডোজের টিকা।

সিভিল সার্জন আরও জানান, যারা প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন, তাদের সবাইকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া হয়েছে। ভারতীয় টিকা পাওয়া এখন অনিশ্চিত। নতুন করে যে টিকা বরাদ্দ হবে সেগুলো চীনের টিকা। ফলে যারা ভারতীয় টিকা প্রথম ডোজ হিসেবে গ্রহণ করেছেন, তাদের চীনের টিকা দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে দেয়ার ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা না থাকায় বাকিদের ভারতীয় টিকা আসার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। টিকা-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন জেলার বাসিন্দারা। প্রতিদিন টিকার খোঁজ নিতে স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন অফিসে যোগাযোগ করছেন দ্বিতীয় ডোজ না পাওয়া ব্যক্তিরা। তবে ভারতীয় টিকার সরবরাহ না থাকায় হতাশ হয়েই ফিরছেন তারা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টিকা নিতে না পারলে প্রথম ডোজের কার্যকারিতায় কতটুকু সুরক্ষিত থাকা যাবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন তারা।

কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত পাবনায় প্রায় ১ লাখ ৬২ হাজার ২৮৪ জন করোনার টিকা নেয়ার জন্য নিবন্ধন করেন।

সিভিল সার্জন মনিসার বলেন, ‘নতুন টিকার বরাদ্দ পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যারা প্রথম ডোজ পাননি, তাদের আগে টিকা দেয়া হবে।

‘করোনা পরিস্থিতি বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ আকার ধারণ করলেও পাবনাতে এখনও পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। সবাই যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তবেই পরিস্থিতি ভালো রাখা সম্ভব। যারা এখনও টিকা নিতে পারেননি, তাদের বেশি সতর্ক থাকতে হবে। আর যারা দ্বিতীয় ডোজ পাননি, তাদের আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ রইল। সবার সার্বিক সহযোগিতা ছাড়া এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ নেই।’

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া সর্বশেষ (২৫ মে) তথ্য অনুযায়ী পাবনায় ৩ হাজার ২৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে গত আট দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮০ জন। এ পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৯৫১ জন। আর মারা গেছেন ২২ জন।

এ বিভাগের আরো খবর