বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতফেরতদের সংস্পর্শে আসা তিনজনের করোনা

  •    
  • ২৬ মে, ২০২১ ২২:২২

আক্রান্ত তিনজনকে তাদের বাড়িতে আইসোলেশনে রেখে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো। তেমন কোনো উপসর্গ তাদের দেখা দেয়নি।

নেত্রকোণার পূর্বধলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুই ভারতফেরতের সংস্পর্শে আসা তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

জেলার সিভিল সার্জন মো. সেলিম মিয়া বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

করোনা আক্রান্তদের বাড়ি উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের বৌলাম গ্রামে। তাদের নাম জানায়নি প্রশাসন।

সিভিল সার্জন জানান, বৌলাম গ্রামের ভারতফেরত আবুল কালাম ও বিলকিছ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের সংস্পর্শে আসা তিনজনের করোনা নমুনা পরীক্ষায় ফলাফল পজিটিভ এসেছে। গ্রামটিতে ওই ভারতফেরত দুজনের সংস্পর্শে আসা ছয় বাড়িতে লকডাউন দেয়ার পর সেখানকার ১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এদের মধ্যে ১০ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।

তিনি আরও জানান, আক্রান্ত তিনজনকে তাদের বাড়িতে আইসোলেশনে রেখে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো। তেমন কোনো উপসর্গ তাদের দেখা দেয়নি।

জেলা প্রশাসক জানান, গত ১৪ মার্চ আবুল কালামের ছেলে মো. সেলিমকে চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেলিম ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। সেলিমের সঙ্গে যান তার বাবা ও স্ত্রী বিলকিছ। ১৮ মে ভারতে মারা যান সেলিম। ২০ মে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে মরদেহ নিয়ে দেশে ফেরেন আবুল কালাম ও বিলকিছ।

তিনি আরও জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বাড়িতে পৌঁছান তারা। দুপুরে মরদেহ দাফন করা হয়। ভারত থেকে আসার খবর পেয়ে সন্ধ্যায় পুলিশের একটি দল নিয়ে পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে কুলছুম, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা তাদের বাড়িতে যান।

মৃত সেলিমের সর্বশেষ করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ ছিল। তবু আগাম সতর্কতার জন্য আবুল কালাম, বিলকিছ ও সংস্পর্শে আসায় আবুল কালামের স্ত্রীকে রাতে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় বলে জানান এই কর্মকর্তা।

পরদিন করোনা পরীক্ষায় আবুল কালাম ও তার পুত্রবধূ বিলকিছ বেগমের করোনা শনাক্ত হয়। এর পর থেকে তারা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনেই আছেন। সেখানকার মেডিক্যাল দল তাদের চিকিৎসা দিচ্ছে।

এ ছাড়া শনিবার থেকে লকডাউনে রাখা ছয়টি বাড়ি প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের তদারকিতে আছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

এ বিভাগের আরো খবর