তিন মাসে সিনোফার্মের দেড় কোটি টিকা আসবে চীন থেকে। প্রথম চালানের ৫০ লাখ ডোজ আসবে জুনে।
বাকি এক কোটি ডোজ দুই কিস্তিতে জুলাই ও আগস্টের মধ্যে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট ভলকান বোজকিরের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন থেকে সিনোফার্মের ভ্যাকসিন কেনার বিষয়ে আলোচনা ইতিবাচক অবস্থায় আছে। এ বিষয়ে চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত। খুব শিগগির চুক্তি সম্পন্ন হবে।
তিনি জানান, বাংলাদেশ চীন থেকে জুন, জুলাই ও আগস্ট- এই তিন মাসে ৫০ লাখ করে মোট দেড় কোটি টিকা কিনতে চেয়েছে।
এ বিষয়ে তিনটি নথির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি এর মাধ্যমে বিনা বাধায় আমরা টিকা আনতে পারব।’
গত সপ্তাহে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনের কথা উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে ভালো বন্ধু হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং তারা টিকার অবিচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করবে।
রাশিয়ার টিকা প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গেও আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। কখন টিকা আসবে, টিকার পরিমাণ, বিমা, টিকা কার্যকর না হলে কী হবে- আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এগুলোর খুঁটিনাটি দেখছে। তারা এখন বেশ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে।’
বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া হচ্ছিল। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশে যত টিকা আসার কথা ছিল, ততগুলো আসেনি।
৩ কোটি ৪০ লাখ কেনা টিকার মধ্যে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত পেয়েছে ৭০ লাখ। বাকি টিকা আসা অনিশ্চিত পুরোপুরি। এর বাইরে আছে ভারত সরকারের উপহারের ৩৩ লাখ টিকা।
এমন বাস্তবতায় দ্বিতীয় ডোজ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না অনেককে। টিকার এ ঘাটতি মেটাতে চীন, রাশিয়ার টিকা কিনছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২ কোটি ডোজ টিকা চাওয়া হয়েছে।