করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে জেলায় জেলায় আলাদা করে লকডাউন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক।
ঢাকা মেডিক্যালে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিনোফার্ম উদ্ভাবিত টিকা বিবিআইবিপি-করভির ডোজ প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের মতো অন্যান্য সীমান্তবর্তী যেসব জেলায় করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেসব জেলাকে আইসোলেটেড করে রাখা হবে। প্রয়োজনে আলাদা করে লকডাউনও দেয়া হবে।’
চীনের টিকা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই পাঁচ লাখ টিকা দিয়ে আমরা আড়াই লাখ মানুষকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনতে পারব। যাদের টিকাদানের আওতায় আনা হবে তার বেশির ভাগই হবে মেডিক্যাল শিক্ষার্থী ও সম্মুখসারিতে কাজ করা চিকিৎসাকর্মী।’
১৫ লাখ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ নিশ্চিত করতে সরকার সম্ভাব্য সব জায়গায় চেষ্টা করছে। শিগগিরই ডোজগুলো হাতে আসবে বলে আশা করছেন মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দুই মাস ও তিন মাস এমনকি চার মাস পরে দেয়া যায়। যারা এই দুই মাসের মধ্যে টিকা না পাবে, তাদের আরও দুই মাস অপেক্ষা করতে হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হকসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউন কিছুটা শিথিল করে সময়সীমা ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২৩ মে মধ্যরাত থেকে ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত এই লকডাউন বলবৎ থাকবে।
নতুন করে লকডাউন দেয়া হলেও খুলে দেয়া হয়েছে আন্তজেলা সব ধরনের গণপরিবহন। ফলে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ, ট্রেন চলতে আর কোনো বাধা নেই। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিতে হবে অর্ধেক যাত্রী। যাত্রীদের পরতে হবে মাস্ক।
হোটেল, রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানগুলোতে মোট আসনের অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা দেয়া যাবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগ সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।