করোনাভাইরাসে শনাক্ত ও মৃত্যুর দিক থেকে ৮ মে শিখরে পৌঁছায় ভারত। এরপর থেকে শনাক্তের সংখ্যা কমতে শুরু করে দেশটিতে। তবে মৃত্যুর দৈনিক হার সে হিসাবে কমেনি।
পরিসংখ্যানবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যের বরাতে সোমবার বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসে ভারতে ৪ হাজার ৪৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ লাখ ৩ হাজার ৭৫১ জনে।
দেশটিতে ২ লাখ ২২ হাজার ৮৩৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয় গত ২৪ ঘণ্টায়। দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৬৭ লাখ ৫১ হাজার ৬৮১ জনের দেহে।
ভারতে আগামী ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে করোনার তৃতীয় ধাক্কা আসতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। তবে দেশটিতে টিকাদান কার্যক্রম এখনও নিম্নমুখী।
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়। ওই সময় রাজ্যটিতে ৩৫ হাজার ৪৮৩ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়।
তামিলনাড়ুর পর সংক্রমণের উচ্চ হার দেখা যায় মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, কেরালা ও অন্ধ্র প্রদেশে।
মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ হাজার ৬৭২, কর্ণাটকে ২৫ হাজার ৯৭৯, কেরালায় ২৫ হাজার ৮২০ ও অন্ধ্র প্রদেশে ১৮ হাজার ৭৬৭ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
গত বছরের শুরুর দিক থেকে চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাস পর্যন্ত মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভারতের ছয়টি রাজ্য। এগুলো হলো মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, উত্তর প্রদেশ ও অন্ধ্র প্রদেশ।
মহারাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ৫৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮৯৭, কর্ণাটকে ২৪ লাখ ২৪ হাজার ৯০৪, তামিলনাড়ুতে ১৮ লাখ ৬ হাজার ৮৬১, উত্তর প্রদেশে ১৬ লাখ ৭০ হাজার ২০ ও অন্ধ্র প্রদেশে ১৫ লাখ ৮০ হাজার ৮২৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর দিক থেকে এখন পর্যন্ত শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। ভাইরাসে মৃত্যু হয় ৬ লাখ ৪ হাজার ৮৭ জনের।
করোনা শনাক্তে ব্রাজিলকে ডিঙিয়ে দ্বিতীয় অবস্থান নেয়া ভারত এ মুহূর্তে ভাইরাসটির কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশটিতে শনাক্ত হয়েছে করোনার অতি সংক্রামক ধরনও।