নেত্রকোণার পূর্বধলায় করোনা আক্রান্ত সন্দেহভাজন দুই ভারতফেরতের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তারা দুইজনই শুক্রবার রাত থেকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। এ ঘটনায় শনাক্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা গ্রামের ৬টি বাড়ি লকডাউন দেয়া হয়েছে।
জেলার সিভিল সার্জন মো. সেলিম মিয়া রোববার বেলা ১১টার দিকে নিউজবাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
ভারতফেরত দুজন হলেন পূর্বধলা উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের বৌলাম গ্রামের আবুল কালাম ও তার পুত্রবধূ বিলকিছ বেগম। সতর্কতার জন্য আবুল কালামের স্ত্রীকেও কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা নেগেটিভ এসেছে। তার নাম জানায়নি প্রশাসন।
সিভিল সার্জন সেলিম বলেন, ‘আক্রান্তদের জেলা যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রেখেই মেডিক্যাল টিম চিকিৎসা দিচ্ছে। উভয়েরই শারীরিক অবস্থা ভালো। এই দুইজনের শরীরে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আছে কি না, তা জানতে জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য ঢাকায় আইসিডিডিআরে নমুনা পাঠানো হচ্ছে।’
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই তিনজনকে জেলা যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
জেলা প্রশাসক কাজী মো. আব্দুর রহমান জানান, সতর্কতা হিসেবে তাদের বাড়িসহ আশপাশের ৬টি বাড়ি লকডাউন দেয়া হয়েছে। তা ছাড়া করোনা শনাক্ত দুইজনের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরও চিহ্নিত করে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ এলাকায় তদারকি করছেন বলেও জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক জানান, গত ১৪ মার্চ আবুল কালামের ছেলে মো. সেলিমকে চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেলিম ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। সেলিমের সঙ্গে যান তার বাবা ও স্ত্রী বিলকিছ। ১৮ মে ভারতে মারা যান সেলিম। ২০ মে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে মরদেহ নিয়ে দেশে ফেরেন আবুল কালাম ও বিলকিছ।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বাড়িতে পৌঁছান তারা। দুপুরে মরদেহ দাফন করা হয়। ভারত থেকে আসার খবর পেয়ে সন্ধ্যায় পুলিশের একটি দল নিয়ে পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে কুলছুম, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা পুলিশ তাদের বাড়িতে যান।
মৃত সেলিমের সর্বশেষ করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ ছিল। তবু আগাম সতর্কতার জন্য আবুল কালাম, বিলকিছ ও সংস্পর্শে আসায় আবুল কালামের স্ত্রীকে রাতে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।