কুষ্টিয়ায় করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজের জন্য বরাদ্দ ২ হাজার ডোজের অবশিষ্ট ১ ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে। এখনও টিকা নেয়ার বাকি জেলার ২২ হাজারের বেশি মানুষ। টিকা ফুরিয়ে গেলেও মানুষ ভিড় করছেন টিকাদান কেন্দ্রে।
নিউজবাংলাকে এই তথ্য জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি জানান, দ্বিতীয় ডোজের বাকি ৪৯০ ডোজ টিকা দিতে রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শুরু হয় কুষ্টিয়া সদরের কলকাকলি স্কুলসহ মিরপুর ও দৌলতপুর উপজেলার কেন্দ্রগুলোতে। টিকা শেষ হয়ে যায় এক ঘণ্টার মধ্যেই।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কুষ্টিয়া সদরের কলকাকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে টিকা দেয়া শুরু হয়। বিকেল পর্যন্ত সব মিলিয়ে জেলায় ১ হাজার ৫১৩ জনকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া হয়।
চাহিদার বিপরীতে টিকা অনেক কম থাকায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় টিকাদান কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন করা হয় বলেও জানান সিভিল সার্জন।
তিনি জানান, কুষ্টিয়ায় করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৬৭ হাজার ৪৮৬ জন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪৫ হাজার ৫১ জন। বাকি আছেন ২২ হাজার ৪৩৫ জন।
তিনি আরও বলেন, ‘ভায়াল শেষ হয়ে যাওয়ায় কুষ্টিয়ায় ১১ মে করোনার টিকাদান বন্ধ হয়ে যায়। ওই দিন ৮২৭ জনকে টিকা দেয়ার পরই বন্ধ হয়ে যায় কার্যক্রম। টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে প্রাপ্তি সাপেক্ষে পুনরায় টিকা দেয়া হবে।’
জেলায় গত ২৪ এপ্রিল টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। চলছিল দ্বিতীয় ডোজ দেয়া। এরপর ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট টিকা দেয়া বন্ধ করে দিলে কুষ্টিয়ায় মজুত শেষ হয়ে যায় ২ মে।
সিভিল সার্জন আনোয়ারুল বলেন, ‘সে সময় অন্য জেলা থেকে আরও ৭ হাজার টিকার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেলেও দেয়া হয় মাত্র ৫ হাজার ডোজ। শেষ পর্যন্ত টিকা দেয়া বন্ধ হয়ে যায় ১১ তারিখ সকালে।
প্রথম ডোজের ৫৬ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা। টিকার মজুত শেষ হলেও নির্ধারিত দিনে অনেকেই কেন্দ্রে আসেন। কেন্দ্রগুলোতে টিকা শেষ হওয়ার কার্যক্রম স্থগিত থাকার নোটিশ দেখে ফেরত যান।’
তিনি আরও বলেন, নতুন করে টিকা এসেছে মাত্র ২০০ ভায়াল। ঢাকা থেকে খুলনা বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কাছে আসে ৯০০ ভায়াল। সেখান থেকে কুষ্টিয়ার জন্য পাওয়া গেছে মাত্র ২০০ ভায়াল।
অবশিষ্ট ব্যক্তিরাও অল্প কিছুদিনের মধ্যেই টিকা পাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন সিভিল সার্জন আনোয়ারুল।