বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুরো শরীর থেকে রক্ত ঝরছে আশিকার

  •    
  • ২৩ মে, ২০২১ ০৯:৩৬

আশিকার রোগের বিষয়ে পরমাণু চিকিৎসাকেন্দ্র, দিনাজপুরের পরিচালক বি কে বোস বলেন, ‘শিশুটির বিভিন্ন পরীক্ষার কাগজপত্র আমি দেখেছি। তাকে হেমাটোলজিস্টের কাছে নিয়ে গেলে রোগ নির্ণয় ও রোগমুক্তির উপায় জানা যেতে পারে বলে মনে করছি।’

১২ বছর বয়সী আশিকা জান্নাতের দিনগুলো কাটছিল হাসিখুশিতেই। কিন্তু এক বছর ধরে তার শরীরে বাসা বেঁধেছে এক ‘বিরল’ রোগ। পুরো শরীর দিয়ে রক্ত ঝরা এ রোগের কারণ নির্ণয় করতে পারছেন না একাধিক চিকিৎসক।

আশিকা জান্নাত দিনাজপুর শহরের আলমগীর হোসেন ও মাহফুজা খাতুন দম্পত্তির বড় মেয়ে। সে দিনাজপুর পুলিশ লাইনস উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।

আশিকার মা মাহফুজা খাতুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত বছর রমজান মাসে হঠাৎ আশিকা তার শরীর দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে বলে জানায়। আমি প্রথমে ওর কথায় গুরুত্ব দিই না। পরদিন আমার সামনে তার শরীর থেকে রক্ত বের হয়। এরপর তাকে আমি দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। হাসপাতালে ভর্তির পর তার রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়। তিন দিন থাকার পর সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, তারা রোগটি নির্ণয় করতে পারেননি।

‘বাড়ি ফেরার পর আবারও তার শরীর থেকে রক্ত পড়া শুরু করে। এরপরই থেকে চোখ, মুখ, হাতের নখ, পায়ের তালু, নখ, পিঠ, নাভি ও ঘাড় থেকে রক্ত বের হয়। প্রতিদিন ১৫-২০ বার শরীর থেকে রক্ত বের হয়। হঠাৎই শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে রক্ত বের হয়, আবার কিছুক্ষণ পর ঠিক হয়ে যায়।

আশিকার মা বলেন, ‘৫-৬ জন ভালো চিকিৎসকের কাছে গিয়েছি। তারা বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেন। কিন্তু তারা রিপোর্ট দেখে রোগটি নির্ণয় করতে পারেননি।’

আশিকা বলছে, ‘প্রথম প্রথম আমার খুব ভয় লাগত। এরপর থেকে স্বাভাবিক লাগে। কিন্তু রক্ত বের হওয়ার সময় আমার খুব কষ্ট হয়। হাত-পা জ্বলে, পেট-ঘাড় ব্যথা হয়। আমার খুব খারাপ লাগে।’

সবশেষ দেখানো এক চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য আশিকাকে বিদেশে নিয়ে যেতে বলেছেন। কিন্তু অটোরাইস মিলের কর্মচারী বাবার পক্ষে চিকিৎসার ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়।

আশিকার বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এক বছর ধরে আমার মেয়েটা কষ্ট করছে। বহু চিকিৎসক দেখিয়েছি। এদের মধ্যে আছেন ডা. বি কে বোস, ডা. চৌধুরী মোসাদ্দেকুল ইজদানী, ডা. আব্দুল কাদের জিলানী, ডা. শেখ সাদেক আলী। এ ছাড়াও বিভিন্ন কবিরাজ ও হোমিও চিকিৎসকের কাছেও ওকে নিয়ে গেছি। কোনো চিকিৎসক বলতে পারেনি আশিকার কী রোগ হয়েছে।’

আলমগীর হোসেন জানান, সবশেষ দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. শেখ সাদেক আলী উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা বা দেশের বাইরে নিয়ে যেতে বলেছেন। কিন্তু ঢাকায় বা দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করানো তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আশিকার রোগের বিষয়ে পরমাণু চিকিৎসাকেন্দ্র, দিনাজপুরের পরিচালক বি কে বোস বলেন, ‘শিশুটির বিভিন্ন পরীক্ষার কাগজপত্র আমি দেখেছি। তাকে হেমাটোলজিস্টের কাছে নিয়ে গেলে রোগ নির্ণয় ও রোগমুক্তির উপায় জানা যেতে পারে বলে মনে করছি।’

আশিকার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তার বাবা আলমগীর হোসেন।

এ বিভাগের আরো খবর