বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আরও ছয় লাখ টিকা উপহার দেবে চীন

  •    
  • ২১ মে, ২০২১ ২০:৪৭

দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে ৫ লাখ টিকা আসার ৯ দিনের মাথায় নতুন করে উপহারের ঘোষণাকে দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, ‘এতে প্রমাণিত হয় চীন বাংলাদেশের সঙ্গে তার বন্ধুত্বের সম্পর্কে কতটা গুরুত্ব দেয়।’

বাংলাদেশকে করোনা প্রতিরোধী আরও ছয় লাখ টিকা উপহার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে চীন। আগের পাঁচ লাখ মিলিয়ে উপহার হিসেবে বাংলাদেশ টিকা পাচ্ছে মোট ১১ লাখ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে ফোনে বিষয়টি জানান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। পরে ঢাকায় চীনা দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

গত ১২ মে চীনের উপহারের পাঁচ লাখ টিকা এসে পৌঁছে ঢাকায়।

চীন বাংলাদেশের এ মহামারির সর্বশেষ পরিস্থিতির দিকে গভীর নজর রাখছে জানিয়ে দেশটির মন্ত্রী বলেন, ‘মহামারির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াইয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে চীন বাংলাদেশি বন্ধুদের ভ্যাকসিনের জরুরি প্রয়োজন সম্পর্কে উদ্বিগ্ন।’

দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে ৫ লাখ টিকা আসার ৯ দিনের মাথায় নতুন করে উপহারের ঘোষণাকে দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, ‘এতে প্রমাণিত হয় চীন বাংলাদেশের সঙ্গে তার বন্ধুত্বের সম্পর্কে কতটা গুরুত্ব দেয়।’

ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ব্যাচ বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণকে মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাড়তি শক্তি যোগাবে বলেও মনে করে চীন।

বাংলাদেশ প্রথমে করোনার অক্সফোর্ড উদ্ভাবিত টিকা ব্যবহারের পক্ষে ছিল। এ জন্য ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে তিন কোটি ৪০ লাখ টিকা কেনার চুক্তিও করে। প্রতি মাসে আসার কথা ছিল ৫০ লাখ করে। কিন্তু দুই মেয়াদে ৭০ লাখ টিকা পাঠানোর পর ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় আর কোনো টিকা পাঠাতে পারেনি। এর বাইরে ভারত উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে আরও ৩৩ লাখ।

ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বিতরণে গড়ে উঠা জোট কোভ্যাক্স থেকেও আসার কথা ছিল ছয় কোটি ৭০ লাখ টিকা। পরে জানানো হয় আরও বেশি আসবে। কিন্তু সে টিকাও আর আসেনি।

এই পরিস্থিতিতে টিকা স্বল্পতায় বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচিই বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে।

সিরাম থেকে টিকা না পেয়ে সরকার চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এর মধ্যে চীন থেকে চার থেকে পাঁচ কোটি টিকা কিনতে চায়। পাশাপাশি দুটি দেশের টিকা দেশে উৎপাদনের উদ্যোগও আছে।

চীনা দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ভবিষ্যতে, চীন বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে মহামারিটির বিরুদ্ধে লড়াই করতে, বাংলাদেশের সঙ্গে মহামারিবিরোধী সহযোগিতা আরও জোরদার করতে এবং দুই দেশের জনগণের স্বাস্থ্য ও জীবন সুরক্ষাকে কার্যকরভাবে সুরক্ষিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে রাজি রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর