ভারতে করোনাভাইরাস শনাক্তে এক দিনে রেকর্ড ২০ লাখ ৬১ হাজার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বৃহস্পতিবার। এর মধ্যে দুই লাখ ৫৯ হাজার মানুষের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।
সংক্রমণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমলেও কমছে না মৃত্যু। শেষ ২৪ ঘণ্টাতেও দেশটিতে করোনায় মৃত্যু হয় চার হাজার ২০৯ জনের।
এ নিয়ে মহামারি শুরুর পর থেকে ভারতে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষ। মৃতের সংখ্যা দুই লাখ ৯১ হাজারের বেশি।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শুক্রবার প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়, আগের দিন নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ হার ১২ দশমিক ৫৮ শতাংশে নেমে এসেছে। শনাক্তের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি ছিল মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু ও উত্তর প্রদেশে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, দৈনিক টিকাগ্রহীতার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে নিম্নমুখী। দেড় শ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে বৃহস্পতিবার টিকা নিয়েছেন ১২ লাখেরও কম মানুষ।
ফলে মহামারির দ্বিতীয় ধাক্কা অব্যাহত থাকার মধ্যেই আগামী ছয় থেকে আট মাসে তৃতীয় ধাক্কার শঙ্কা জোরালো হচ্ছে ভারতে।
করোনায় প্রাণহানিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পর এবং শনাক্তের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ ভারত।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের পর গত ৬ এপ্রিল ছয় মাসে ভারতে প্রথম দিনে এক লাখের বেশি মানুষের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
এরপর ২০ মে পর্যন্ত দেড় মাসে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এক কোটি সাড়ে ৩৩ লাখ মানুষের দেহে। অথচ মহামারি শুরুর পর সাত-আট মাসেও মোট সংক্রমণ ছিল এর কম।
একইভাবে সেপ্টেম্বরের পর গত ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো এক দিনে করোনায় এক হাজারের বেশি মৃত্যু রেকর্ড হয় ভারতে। এরপর ২০ মে পর্যন্ত মাত্র ৩৯ দিনে প্রাণ হারায় সোয়া এক লাখ মানুষ।
মহামারি পরিস্থিতির অবনতিতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে করোনার টেস্ট কিট, ওষুধ, অক্সিজেনসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামের। রোগীর বিপরীতে স্বাস্থ্য খাতে দেখা দিয়েছে ব্যাপক লোকবল সংকট।
মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হতে থাকায় শ্মশান, কবরস্থানগুলোতেও স্বজনদের মরদেহ নিয়ে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে অসংখ্য মানুষকে।