বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিরামের টিকা আগস্টের আগে নয়

  •    
  • ১৯ মে, ২০২১ ১১:১২

সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদর পুনেওয়ালা বলেন, ভারতের বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যার টিকা নিশ্চিত করতে আরও দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে। এর আগে কোনো দেশে টিকা রপ্তানি করা হবে না।

সিরাম ইনস্টিটিউট ভারতের মানুষের জীবন সংকটে ফেলে কখনই টিকা রপ্তানি করবে না বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান আদর পুনেওয়ালা।

তিনি বলেন, ভারতের বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যার টিকা নিশ্চিত করতে আরও দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে।

অর্থাৎ সেই হিসাবে সিরামের টিকা পেতে হলে ভারত ছাড়া অন্য দেশগুলোকে অপেক্ষা করতে হবে আগস্টের পর পর্যন্ত।

সিরাম ইনস্টিটিউট এখন টিকা রপ্তানি করবে না জানিয়ে মঙ্গলবার এক বিবৃতি দিয়েছে সিরামের প্রধান আদর পুনেওয়ালা। সেখানে তিনি মহামারি রুখতে ভারতের এই লড়াই অব্যাহত থাকবে বলে জানান।

বাংলাদেশও সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা কিনতে চুক্তি করে। চুক্তি অনুসারে প্রতি মাসে বাংলাদেশকে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা দেয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত সিরাম দিয়েছে মাত্র ৭০ লাখ ডোজ টিকা।

এর বাইরে ভারত সরকার উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ৩৩ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে।

বাংলাদেশ কেনা টিকা চেয়ে ভারত সরকারের কাছে জানতে চাইলেও অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় টিকা রপ্তানি বন্ধের কথা বলেছে দেশটি।

সিরামের টিকা কিনতে বেক্সিমকো, বাংলাদেশ সরকার ও সিরামের মধ্যে চুক্তি হয়। সিরাম সবশেষ চলতি মাসেই টিকা দিতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত আর দেয়নি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান পাপন।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালও বিভিন্ন সময় সিরামের কাছ থেকে পাওনা টিকার বাকি টাকা ফেরত আনার উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছেন।

এরই মধ্যে সিরামের প্রধান আদর পুনেওয়ালা মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়ে টিকা রপ্তানির সময় অনেকটা নিশ্চিত করেছেন।

বিবৃতিতে পুনেওয়ালা বলেন, আগে টিকা রপ্তানি করার পর বিভিন্ন দেশ দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণের সময় ভারতকে সহায়তা করেছে।

গত বছরের শেষে ও চলতি বছরের প্রথমে কী কারণে টিকা রপ্তারি করা হয়েছিল সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছেন সেই বিবৃতিতে।

পুনেওয়ালা বলেন, যখন জানুয়ারিতে টিকা আসে তখন ভারতে এর যথেষ্ট মজুত ছিল। সে সময় দেশে মহামারি শুরুর পর সর্বনিম্ন সংক্রমণ ছিল। আর তখন সফলভাবে টিকাদান শুরু করা গেছে।

একই সময় অন্য অনেক দেশ বড় ধরনের সংকটে পড়েছিল, তাদের সহায়তার খুব প্রয়োজন ছিল। সরকার যতটা সম্ভব তখন সহায়তা করেছে।

তিনি বলেন, মহামারি ভৌগোলিক বা রাজনৈতিক সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। যতক্ষণ সবাই মিলে ভাইরাসটিকে পরাস্ত করা না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কেউই নিরাপদ নই।

ভারত সরকার এপ্রিলে যখন করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ নিশ্চিত হতে পারে এবং টিকা-স্বল্পতা নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করে তখন থেকে আদর পুনেওয়ালার নিরাপত্তা বাড়িয়ে ওয়াই ক্যাটাগরি করা হয়।

অবশ্য এর কয়েক দিন পরেই পুনেওয়ালা যুক্তরাজ্যে চলে যান। এখন প্রত্যাশা করা হচ্ছে অল্প কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি দেশে ফিরবেন।

এমন এক সময় সিরাম থেকে বিবৃতি দেয়া হয়েছে, যখন ভারতে টিকা-স্বল্পতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।

সিরাম নির্দিষ্ট সময়ে প্রয়োজনীয় টিকা সরবরাহ করতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে তোপ দেগেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীও।

চলতি মাস থেকে দেশটি ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা কার্যক্রম শুরু করেছে। কিন্তু বেশির ভাগ রাজ্যেই টিকার মজুত না থাকায় কর্মসূচিটি চালিয়ে যেতে পারছে না।

অন্যদিকে অবৈধ পথে অন্য দেশে টিকা পাচারের সময় পুলিশ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটিতে।

এ বিভাগের আরো খবর