করোনাভাইরাসে এক দিনে ৪ হাজার ৩২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ভারতে। মহামারির প্রায় দেড় বছরে ২৪ ঘণ্টার হিসাবে এটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
এ নিয়ে ভারতে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২ লাখ ৭৯ হাজারের কাছাকাছি।
দেশটিতে সোমবারের করোনা শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা মঙ্গলবার সকালে প্রকাশ করে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দৈনিক তিন লাখের কম সংক্রমণ পেয়েছে ভারত। নতুন শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার রোগী।
ফলে দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ২ কোটি ৫২ লাখ ছাড়িয়েছে।
১১ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত এক সপ্তাহে ভারতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৫ লাখ মানুষের দেহে। এ সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৩২ হাজারের বেশি মানুষের।
গত ২৮ এপ্রিলের পর থেকে টানা করোনায় তিন হাজারের বেশি দৈনিক প্রাণহানি হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে। ২১ এপ্রিলের পর সোমবার প্রথম তিন লাখের কম দৈনিক সংক্রমণ শনাক্ত করে ভারত।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, অক্সিজের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি মেটাতে কাজ চলছে।
করোনায় প্রাণহানিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরে এবং সংক্রমণ শনাক্তের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ ভারত।
মহামারি পরিস্থিতির অবনতিতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে করোনার টেস্ট কিট, ওষুধ, অক্সিজেনসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামের। রোগীর বিপরীতে স্বাস্থ্য খাতে দেখা দিয়েছে ব্যাপক লোকবল সংকট।
মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হতে থাকায় শ্মশান, কবরস্থানগুলোতেও স্বজনদের মরদেহ নিয়ে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে অসংখ্য মানুষকে।
এমন পরিস্থিতিতে জুলাইয়ের মধ্যে ৫১ কোটি ডোজ টিকা ভারতের হাতে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।
টিকা সংকটের মধ্যেও দেশটির ৬৬ শতাংশ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী দুই ডোজ নিয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
এ পর্যন্ত করোনায় এক হাজারের বেশি চিকিৎসক প্রাণ হারিয়েছেন ভারতে।
এদিকে, করোনার চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপির ব্যবহার বন্ধ করেছে ভারত সরকার। রোগীকে সুস্থ করতে বা প্রাণহানি কমাতে এটি কার্যকর নয় বলে জাতীয় কোভিড টাস্কফোর্স সিদ্ধান্ত দেয়ার পর করোনার চিকিৎসার তালিকা থেকে প্লাজমা থেরাপি প্রত্যাহার করে নয়াদিল্লি।