রাজশাহী বিভাগের সবগুলো জেলায় ফুরিয়ে এসেছে টিকার মজুত। দুই-এক দিনের মধ্যেই শেষ হচ্ছে বেশির ভাগ জেলার টিকা।
এই বিভাগে এখন পর্যন্ত টিকা মজুত আছে ১ হাজার ৭৪৬ ভায়েল। যা দিয়ে ১৭ হাজার ৪৬০ ব্যক্তিকে টিকা দেয়া যেতে পারে।
স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, দেশে নতুন করে টিকা এলে আবার টিকা দেয়া সম্ভব হবে।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার টিকা প্রয়োগের পর এই বিভাগে অবশিষ্ট আছে ১ হাজার ৭৪৬ ভায়েল টিকা। এর মধ্যে রাজশাহী জেলায় ৩৭৮ ভায়েল, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৮৮, নাটোরে ৫০, নাওগাঁয় ২০০, পাবনায় ৮০, সিরাজগঞ্জে ১৩০, বগুড়ায় ৪০০, জয়পুরহাটে ৯০, রাজশাহী সিটি করপোরেশনে আছে ১৩ ভায়েল টিকা।
এদিকে রাজশাহী বিভাগে সোমবার বিকেল পর্যন্ত টিকা দেয়া হয়ছে ৫ হাজার ৯৯৮ ব্যক্তিকে। এর মধ্যে রাজশাহী জেলায় ৭৮১ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৬৯১ জন, নাটোরে ৩৮৫ জন, নাওগাঁয় ৯৫৮ জন, পাবনায় ৬৯৯ জন, সিরাজগঞ্জে ১ হাজার ২৬ জন, বগুড়ায় ৫৭৯ জন, জয়পুরহাটে ৪৪০ ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় দেয়া হয়েছে ৪৩৯ জনকে।
এভাবে টিকা প্রয়োগ করলে রাজশাহী জেলায় আর তিন থেকে চার দিন টিকা প্রয়োগ করা সম্ভব।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই থেকে তিন দিন, নাটোরে এক থেকে দুই দিন, নওগাঁয় দুই দিন, পাবনায় এক দিন, সিরাজগঞ্জে এক দিন, বগুড়ায় চার থেকে পাঁচ দিন, জয়পুরহাটে দুই দিন ও রাজশাহী শহরে দেয়া যাবে দুই দিন। এরপর বন্ধ হয়ে যাবে টিকাদান।
জেলা সিভিল সার্জন কাইয়ুম তালুকদার বলেন, ‘রাজশাহী জেলাতে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৩১ হাজার জন। এর মধ্যে প্রায় ৪৫ হাজার জন দ্বিতীয় ডোজের টিকা এখনো পাননি।
‘যা টিকা আছে তাতে আর দুই থেকে তিন দিন চলবে। প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার পর ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই দ্বিতীয়বার টিকা নেয়ার নিয়ম। তবে টিকা সংকটের কারণে রাজশাহীর টিকা প্রয়োগ বন্ধ হয়ে যাবে।’
যারা টিকা পায়নি তাদের কী করা হবে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন বলেন, ‘এটি নিয়ে বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত আসার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানাবেন। সেই হিসেবে ব্যবস্থা নেয় হবে।’
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ নওশাদ আলী বলেন, ‘প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার ১২ সপ্তাহের মধ্যেই দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে হবে। না হলে টিকার কার্যক্ষমতা হারাবে।’
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাবিবুল আহসান তালুকদার বলেন, বর্তমানে রাজশাহী বিভাগে যে টিকা আছে, তা দিয়ে আর মাত্র তিন থেকে চার দিন চলবে। চলতি সপ্তাহইে টিকা না এলে বন্ধ হবে যাবে টিকা প্রয়োগ কর্মসূচি।
আপাতত কোনো টিকা আসার তথ্য নেই জানিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বলেন, মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ কিছু টিকা আসতে পারে। টিকা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আবার কার্যক্রম চালু হবে।