বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশে টিকা উৎপাদনের সম্ভাব্যতা দেখছে যুক্তরাষ্ট্র

  •    
  • ১৭ মে, ২০২১ ১৮:০১

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে জানান, তার সরকার টিকার বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। মিলার বলেন, ‘মার্কিন সরকার বাংলাদেশি ওষুধ সংস্থাগুলোতে মার্কিন ভ্যাকসিন তৈরির সম্ভাবনাগুলো খতিয়ে দেখছে।’

বাংলাদেশি ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা উৎপাদনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে দেখা করে এ কথা জানান ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার।

বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের তাৎক্ষণিক চাহিদা পূরণের জন্য ভ্যাকসিন সরবরাহের বিষয়সহ করোনা মহামারি মোকাবিলায় দুই দেশের মধ্যে চলমান সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করেন।

এ সময় মিলার জানান, তার সরকার টিকার বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভ্যাকসিন সরবরাহে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি আঞ্চলিক পদ্ধতি থাকা উচিত বলে মনে করে সে দেশের সরকার।

‘মার্কিন সরকার বাংলাদেশি ওষুধ সংস্থাগুলোতে মার্কিন ভ্যাকসিন তৈরির সম্ভাবনাগুলো খতিয়ে দেখছে’-বলেন মিলার।

করোনা প্রতিরোধী এখন পর্যন্ত যেসব টিকা বাজারে এসেছে এর মধ্যে তিনটি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবিত। টিকা তিনটি এনেছে দেশটির ওষুধ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান মডার্না, ফাইজার ও জনসন অ্যান্ড জনসন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক অভিযানের বার্ষিক যৌথ প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা (জেআরপি) চালু করা, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি, ভ্যাকসিন ইস্যু ইত্যাদিসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক ও দ্বিপক্ষীয় ইস্যুতে বৈঠকে আলোচনা হয়।

এ সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র আবার জেআরপিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখবে, যা আগামীকাল কার্যত চালু হবে।

মিলার বলেন, ‘মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত জনগণের বোঝা বহন করতে আমেরিকা সব সময় বাংলাদেশকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’

এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের অগ্রাধিকার বলে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে সাফ জানিয়ে দেন। ভাসানচরে স্থানান্তরিত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন পাওয়ার ওপরও জোর দেন শাহরিয়ার আলম।

বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী চলমান ফিলিস্তিনি-ইসরায়েল সংকট নিয়ে বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে এ বিষয়ে ভূমিকা রাখার বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। যেমনটি সম্প্রতি ওআইসির কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন।

গাজা উপত্যকায় রক্তপাত বন্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সক্রিয় ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। দ্বি-রাষ্ট্রীয় তত্ত্বে বিষয়টি সমাধানে বাংলাদেশের অবস্থা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সময়মতো ভিসা ইন্টারভিউ স্লট দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। বলেন, ভিসা স্লট বন্ধ থাকায় বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।

জবাবে মিলার বলেন, ‘লকডাউন পরিস্থিতি দ্বারা সৃষ্ট ব্যাকলগ সমাধানে দূতাবাস কাজ করছে।’

প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কিত মার্কিন সরকার কর্তৃক সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পুরো চিত্র ভালোভাবে প্রতিফলিত হয়নি। কারণ সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বৈষম্য নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, ‘দেশে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের যেসব উদাহরণ প্রতিবেদনে দেয়া হয়েছে তা বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছে।’

দুজনের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের মাধ্যমেই স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তির প্রয়োগ ধীরে ধীরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর