দেশের কোনো ওষুধ উৎপাদন প্রতিষ্ঠানকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা উৎপাদনের অনুমতি দেয়া হবে কি না এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত আসবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেই। তিনিই এই সিদ্ধান্ত দেবেন। টিকা উৎপাদন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সবকিছু দেখে আমাদের কাছে প্রতিবেদন আসবে। পরে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
রোববার বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রকাশিত হয়, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর চীনের সিনোভ্যাকের টিকা উৎপাদনের জন্য ইনসেপ্টাকে অনুমতি দিয়েছে। যদিও পরে ঔষধ প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে এ সংবাদ মিথ্যা। কোনো কোম্পানিকে টিকা উৎপাদনের অনুমতি দেয়া হয়নি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টিকা উৎপাদন করতে হলে ওষুধ প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। ওষুধ প্রশাসনের অনুমতির পাশাপাশি সরকারি অনুমোদন লাগে। এটাতে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত আছে। প্রস্তাব আসলে আমাদের দেশেও ভ্যাকসিন উৎপাদন করব।
‘দেশের যেসব ঔষধ কোম্পানি আছে। যাদের টিকা উৎপাদনে সক্ষমতা রয়েছে। তাদের এগিয়ে আসতে হবে। তারা এগিয়ে আসছে, তাদের বিষয়গুলো ঔষধ প্রশাসন দেখছে। ঔষধ প্রশাসন যাচাই-বাছাই করে আমাদের কাছে প্রস্তাবনা পাঠাবে এরপরে সিদ্ধান্ত হবে। এখনও তেমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যারা আবেদন করেছে তাদের বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, টিকা উৎপাদন করা একটা দীর্ঘ প্রসেস। যে কোম্পানিটিগুলো উৎপাদন করবে তাদের টিকা উৎপাদনের ফ্যাসিলিটি থাকতে হবে। যাদের টিকা ফর্মুলা আছে তারা টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেবে। টিকা উৎপাদন বা প্রস্তুত করতে হলে সময় লাগবে।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘চার-পাঁচ মাসের আগে খুব তড়িৎগতিতে হলেও টিকা প্রস্তুত করা সম্ভব নয়। যদি নতুন করে টিকা উৎপাদন করতে হয় তাহলে এর থেকে আরও বেশি সময় লাগবে।’