করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতের অবস্থা যখন পর্যুদস্ত তখন দারুণ এক আশার খবর দিল দেশটির ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)। সীমিত পরিসরে বাজারে ছাড়া হয়েছে তাদের উদ্ভাবিত করোনা প্রতিষেধক পাউডার জাতীয় ওষুধ।
সোমবার ২-ডাইঅক্সি-ডি-গ্লুকোজ (২-ডিজি) নামের ওষুধটির প্রথম ব্যাচ ছাড়া হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. হর্ষ বর্ধন উপস্থিত থেকে এ ওষুধের যাত্রা উদ্বোধন করেন।
ওষুধটি ডিআরডিও এর ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সেস (আইএনএমএএস) এবং তেলেঙ্গনার বহুজাতিক ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ড. রেড্ডি ল্যাবরেটরির সম্মিলতি উদ্যোগে উদ্ভাবন করা হয়েছে।
ওষুধটি ছাড়ার আগে পূর্ণাঙ্গ ট্রায়াল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠান। তারা বলেছে, ৩০টি হাসপাতালে বিশাল সংখ্যক রোগীর ওপর এ ওষুধের ট্রায়াল পরিচালনা করা হয়।
ডিআরডিওর কর্মকর্তারা গত শুক্রবারই বার্তা সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছিলেন, ‘২-ডিজি’ ওষুধের ১০ হাজার ডোজের প্রথম ব্যাচ সপ্তাহের শুরুতেই ছাড়া হতে পারে।
ওষুধটি পাউডার জাতীয়, ছোট ছোট প্যাকেট করা। খেতে হয় পানিতে মিশিয়ে। এ ওষুধ খাওয়ার ফলে ভাইরাসে আক্রান্ত কোষগুলো ধীরে ধীরে সতেজ হয়ে ওঠে। থামিয়ে ভাইরাসের বেড়ে ওঠা। ভাইরাসে আক্রান্ত কোষগুলোকে সারিয়ে তোলা ওষুধটিতে অনন্য করে তুলেছে।
ভারতে করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউ বেশি ভয়াবহ উঠেছে। বেশির ভাগ দিনেই ২৪ ঘণ্টার হিসেবে করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুতে রেকর্ড হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীর জায়গা হচ্ছে না। দেখা দিয়েছে তীব্র অক্সিজেন সংকট।
এমন অবস্থায় ‘২-ডিজি’ ওষুধের খবর আশার সঞ্চার করেছে ভারতে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোষ সাড়িয়ে তুলতে পারে এই ওষুধের ফলে অনেক মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওই ওষুধে করোনা রোগীকে হাসপাতালে খুব বেশি সময় হাসপাতালে নাও থাকা লাগতে পারে।