করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জারি করা নানা স্বাস্থ্যবিধির মধ্যে মাস্ক পরা অন্যতম। বৃহস্পতিবার এ নিয়মে শিথিলতা আনে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় জনস্বাস্থ্য সংস্থা সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)।
সংস্থাটির ঘোষণায় বলা হয়, করোনার টিকার সব ডোজ নেয়া যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে ঘরের ভেতরে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আর মাস্ক পরা লাগবে না। ঘরের বাইরে এমনকি জনবহুল স্থানেও তাদের মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা নেই।
এ ঘোষণার পরদিনই শুক্রবার নিজেদের মাস্ক সংক্রান্ত নীতিতে পরিবর্তন আনে ওয়ালমার্টসহ যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু প্রসিদ্ধ খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠান। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, করোনার টিকার সব ডোজ নেয়া ক্রেতাদের এখন আর দোকানে কেনাকাটার সময় মাস্ক পরা লাগবে না।
ইউএসএ টুডের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিডিসির নির্দেশনার পর ট্রেডার জো’স, ওয়ালমার্ট, স্যাম’স ক্লাব, কস্টকো ও পাবলিক্স প্রথম মাস্ক ছাড়া কেনাকাটার ঘোষণা দেয়। তবে অঙ্গরাজ্য বা স্থানীয় প্রশাসন মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক রাখলে সেক্ষেত্রে ক্রেতাদের মাস্ক পরতে হবে। এ ছাড়া কয়েকটি ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোর টিকা নেয়া কর্মচারীরা মাস্ক ছাড়া কাজ করতে পারবে।
অ্যাপল, টার্গেট, সিভিএস, ওয়ালগ্রিন্সের মতো বেশ কিছু খুচরা বিক্রেতা জানিয়েছে, সিডিসির নতুন নির্দেশনা তারা এখনও মূল্যায়ন করছে। তবে মাস্ক পরার ক্ষেত্রে নীতিমালা হালনাগাদ করা হতে পারে।
এ ছাড়া বহুজাতিক কফি বিক্রয় প্রতিষ্ঠান স্টারবাক্স এরই মধ্যে তাদের মাস্ক সংক্রান্ত নীতি পরিবর্তন করেছে। সোমবার থেকে করোনার টিকা নেয়া ক্রেতাদের মাস্ক পরা ঐচ্ছিক করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে স্থানীয় প্রশাসন মাস্ক পরতে বাধ্য করলে ক্রেতাদের সেক্ষেত্রে মাস্ক পরে স্টারবাক্সে যেতে হবে।
সুপারমার্কেট কোম্পানি পাবলিক্স করোনার টিকা নেয়া ক্রেতা ও কর্মচারীদের ক্ষেত্রে মাস্কনীতি হালনাগাদ করেছে, যা শনিবার থেকে কার্যকর হবে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে পাবলিক্সের পক্ষ থেকে বলা হয়, সিডিসির নির্দেশনা অনুযায়ী, যেসব ক্রেতা করোনার টিকার সব ডোজ নেননি, তাদের পাবলিক্সের সব স্টোরে নাক ও মুখ ঢেকে রাখার মতো মাস্ক পরতে হবে।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে শুক্রবার রাতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাসংশ্লিষ্ট বিধিনিষেধ মূল্যায়ন অব্যাহত রেখেছে অ্যাপল। মাস্ক পরাসহ করোনা সংক্রান্ত অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে প্রতিষ্ঠানটি।