বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইনসেপ্টাকে চীনের টিকা উৎপাদনের অনুমতি

  •    
  • ১৬ মে, ২০২১ ১৭:২১

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘উৎপাদনে সক্ষমতা আছে এমন তিন চারটি কোম্পানি আমাদের কাছে আবেদন করেছিল। আমরা বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় দেখে ইনসেপ্টাকে টিকা উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছি। এ মাসেই তারা কাজ শুরু করবে।’

চীনের সিনোফার্মের টিকা উৎপাদন করতে ইনসেপ্টাকে অনুমতি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। চলতি মাসেই টিকা উৎপাদনে যাবে প্রতিষ্ঠানটি।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘উৎপাদনে সক্ষমতা আছে এমন তিন চারটি কোম্পানি আমাদের কাছে আবেদন করেছিল। আমরা বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় দেখে ইনসেপ্টাকে টিকা উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছি। এ মাসেই তারা কাজ শুরু করবে।’

এ ব্যাপারে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানিয়েছিল, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস, হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডকে টিকা উৎপাদনে অনুমতি দেয়া যায় কিনা তা প্রাথমিক সক্ষমতা যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিকা সংগ্রহ ও বিতরণ বিষয়ক আন্তমন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কমিটি।

এ ছাড়া, রেনেটা এবং ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস রাশিয়ার টিকা উৎপাদনের অনুমতি চেয়ে ঔষধ প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছে।

গত ২ মে রাশিয়কে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে ওরিয়ন ফার্মা। এর দুই দিন পর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সেই বিষয়টি তারা জানিয়েছে।

চীনের টিকার পাশাপাশি রাশিয়ার টিকাও উৎপাদন করতে আগ্রহী পপুলার, হেলথকেয়ার, ইনসেপটা ও রেনাটা। এ জন্য রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগও করেছে কোম্পানিগুলো।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেছিলেন, ‘আমাদের বেশ কয়েকটি ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানির করোনা টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও সরকার বর্তমানে তিন কোম্পানির টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা যাচাই করবে। এটা আমাদের বিশেষজ্ঞ কমিটি থেকে সুপারিশ করা হয়েছে।’

করোনা প্রতিরোধী টিকা কার্যক্রমের শুরু থেকেই ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত কোভিশিল্ড টিকার ওপর নির্ভর করে আসছিল বাংলাদেশ।

ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৩ কোটি ডোজ টিকা আনতে গত বছরের ৫ নভেম্বর ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে ঢাকা। চুক্তি অনুষ্ঠানে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীও।

চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় ধাপে দেশে ৩ কোটি ডোজ টিকা পৌঁছানোর কথা থাকলেও সিরাম তা পারছে না। দুই ধাপে ৭০ লাখ ডোজ টিকা দিতে পেরেছে প্রতিষ্ঠানটি। বাকি টিকা পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে বড় অনিশ্চয়তা।

সিরাম থেকে ৫০ লাখ ডোজের প্রথম চালানটি আসে গত জানুয়ারিতে। ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় চালানে টিকা আসে ২০ লাখ ডোজ। তবে কেনা টিকার বাইরে ভারত সরকার তিন ধাপে বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দিয়েছে ৩৩ লাখ ডোজ টিকা। সব মিলিয়ে দেশে টিকার মজুত দাঁড়ায় ১ কোটি ৩ লাখ ডোজ।

এর মধ্যে ৭০ লাখ ডোজ টিকা মজুত নিয়ে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় করোনা প্রতিরোধী গণটিকা কার্যক্রম।

গণটিকাদান শুরুর ৭৮ দিনের মাথায় ২৫ এপ্রিল প্রথম ডোজ বন্ধ করে দেয়া হয়। তত দিনে প্রথম ডোজ প্রয়োগ করা হয় ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৬৪৬ জনকে। এদের সবার দ্বিতীয় ডোজ লাগবেই। প্রথম ডোজে যাদের সিরামের টিকা দেয়া হয়েছে, তাদের সবার টিকা নিশ্চিত করতে হলে আরও অন্তত ১৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৯২ ডোজ লাগবে। সরকারের মজুতে সে পরিমাণ টিকা নেই।

ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় টিকার সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ। সংকট নিরসনে সরকার বিকল্প উৎস থেকে টিকা পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এর অংশ হিসেবে গত ২৭ এপ্রিল রাশিয়ার মস্কোর গামালিয়া ইনস্টিটিউটের তৈরি স্পুৎনিক-ভি ও ২৯ এপ্রিল চীনের সিনোফার্মের টিকাকে জরুরি প্রয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়। এই দুটি দেশ থেকে টিকা কেনার পাশাপাশি তাদের টিকা দেশে উৎপাদনের প্রযুক্তি নিতে চায়।

সেসব দেশ থেকে টিকা কিনে আনার পাশাপাশি ফর্মুলা গোপন রাখার শর্তে চীন ও রাশিয়ার টিকা দেশেই উৎপাদন করতে চায় সরকার। সরকারের এই কাজে সহযোগিতা করবে দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এক্ষেত্রে তিনটি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা আছে বলে জানিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

এ বিভাগের আরো খবর