ফাইজার-বায়োএনটেক অথবা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজই যেকোনো বয়সীদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমে ৬৫ শতাংশ।
ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত পৌনে চার লাখ মানুষের নাক ও গলা থেকে প্রাপ্ত ১৬ লাখের বেশি নমুনা পরীক্ষার তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ব্রিটিশ গবেষকরা জানিয়েছেন এ তথ্য।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান বিভাগ এবং স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ বিভাগের জরিপ থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
গবেষকরা বলছেন, অক্সফোর্ড বা ফাইজারের যেকোনো একটি টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার ২১ দিন পর করোনার সংক্রমণ ৬৫ শতাংশ কমে যায়।
প্রথম ডোজ নেয়ার তিন সপ্তাহের মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ার হার কমে ৭৪ শতাংশ। অন্যদিকে উপসর্গহীন করোনা রোগীদের মধ্যে এ হার ৫৭ শতাংশ।
টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর সংক্রমণের হার কমেছে ৭০ শতাংশ। করোনার উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের মধ্যে এ হার ৯০ শতাংশ। উপসর্গবিহীন রোগীদের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমেছে ৪৯ শতাংশ।
তবে এ জন্য দ্বিতীয় ডোজ না নেয়ার সুযোগ নেই বলেও সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
যুক্তরাজ্য, ভারত, বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় অনুমোদন দেয়া হলেও টিকাটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় রক্ত জমাট বাঁধা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক।
৮ থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধানে টিকাটির দুই ডোজ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রসহ ধনী কয়েকটি দেশে চলছে ফাইজারের টিকাদান। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ডোজ নেয়ার পরামর্শ যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি)।
ফাইজার-বায়োএনটেক ও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মিশ্রণ অধিক কার্যকর কি না, গত ফেব্রুয়ারিতে সে পরীক্ষা শুরু করে যুক্তরাজ্য।