ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বা ডিএনসিসির ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে দুজনের শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়ার খবর ছড়ালেও তা এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানান হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, দুজনের করোনা নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করতে পাঠানো হয়েছে, ফল এলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানাবে।
ডিএনসিসির ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে থাকা রোগীদের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে রোববার এ তথ্য জানান নাসির উদ্দিন।
১৪ মে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে দুই রোগীর শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে বলে গণমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে। ওই দুই জনের শরীরে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট কি না তা নিশ্চিত করতে কাজ করলেও এখনো তা পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার আগেই এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি।
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ভারত থেকে আসা দুইজনের করোনা হলেও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তাদের শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক, তারা এখন ডিএনসিসি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
তিনি জানান, দুজনকেই আলাদা রাখা হয়েছে। তাদের অক্সিজেন সাপোর্ট লাগছে না।
ডিএনসিসি হাসপাতালের পরিচালক বলেন, ‘তাদের জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে, শনাক্ত হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পরবর্তী তথ্য জানানো হবে।’
অসচেতন ঈদ যাত্রায় করোনা সংক্রমণ বাড়াতে পারে বলেও মন্তব্য করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘আমরা অসচেতনভাবে ঈদযাত্রা করেছি, অসচেতনভাবে আবার ঢাকাতে ফিরছি; যে কারণে সংক্রমণ বাড়তে পারে, রোগীর সংখ্যাও বাড়তে পারে।
‘আমাদের সবারই করোনা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে, মাস্ক পরতে হবে, অন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।’
নাসির উদ্দিন জানান, ডিএনসিসি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে এক হাজার শয্যা ও প্যাথলজি প্রস্তুত থাকলেও রোগীর সংখ্যা এখন কম। এখন সেখানে ৫৭ জন রোগী ভর্তি রয়েছে, যার মধ্যে ৪০ জনকে আইসিইউতে রাখতে হয়েছে।