ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি থমকে গেছে। গত এক সপ্তাহে এক ডোজ টিকাও অঞ্চলটিতে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। টিকার মজুত পৌঁছেছে শূন্যের কোঠায়।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার উপত্যকাটির ভারত নিয়ন্ত্রিত অংশের বেশির ভাগ জেলায় এক ডোজ টিকাও পায়নি কেউ। রাজধানী শ্রীনগরেও একই হাল।
এদিন প্রায় দেড় কোটি বাসিন্দার মধ্যে মাত্র ৫০৪ জন টিকা নিয়েছেন।
সপ্তাহব্যাপী টিকা সরবরাহ বন্ধ থাকায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘এর আগের শনিবার শেষবার টিকার একটি চালান এসেছিল। সব দিয়ে দেয়া হয়েছে। আর কোনো টিকা আমাদের হাতে নেই।’
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ও প্রাণহানি বাড়তে থাকায় কাশ্মীরে লকডাউন ২৪ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। হাতে গোনা জরুরি কয়েকটি সেবা বাদে সবকিছুই বন্ধ। বাড়ির বাইরে বের হওয়াও নিষিদ্ধ।
করোনার বিস্তার রোধে শ্রীনগরে আসা-যাওয়া বন্ধ; ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে রাস্তাঘাট। অঞ্চলজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন শেষে রাজ্যটি থেকে কয়েক হাজার সেনাসদস্যকে কাশ্মীরে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। এরপর আরও কঠোর হয়েছে বিধিনিষেধ।
তবে সোমবার থেকে লকডাউন শিথিলের কথা ছিল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিতে।
কাশ্মীরে এ পর্যন্ত করোনায় প্রাণহানি হয়েছে তিন হাজারের বেশি মানুষের। শনাক্ত হয়েছে আড়াই লাখের বেশি।
অঞ্চলটিতে পুলিশ, সেনাসদস্যসহ ২৮ লাখ মানুষ টিকা নিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন মূলত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাই।
দেশজুড়ে ১৮ ও তার বেশি বয়সী সবার টিকাদান শুরু হলেও কাশ্মীরে তা হয়নি। পুরো অঞ্চলটিতে কেবল দুটি টিকাকেন্দ্রে ১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেয়া হচ্ছে। তা-ও দিনে সর্বোচ্চ ৩০০ ডোজ করে। টিকা সংকটে এই কর্মসূচিও এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ।