ঈদ উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ভিড় জমিয়ে বাড়িতে যাওয়া লোকজনের ফিরতি যাত্রা বিলম্বিত করতে সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ঈদের দিন সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ঈদ উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে মানুষ যেভাবে ভিড় জমিয়ে বাড়ি গিয়েছেন, তাদের ফিরতি যাত্রা বিলম্বিত করতে সুপারিশ করা হয়েছে।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউন ১৬ মে, রোববার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। লকডাউনের মধ্যে আন্তজেলা বাস, যাত্রীবাহী লঞ্চ বন্ধের কথা বলা হয়েছিল।
তবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত বিপুলসংখ্যক মানুষ বিকল্প উপায়ে গাড়িতে ভেঙে ভেঙে, লঞ্চে ঠেলাঠেলি করে বাড়িতে গেছেন।
মাদারীপুরের বাংলাবাজারে দুটি ফেরি থেকে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে ভিড়ের চাপে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
ওই ঘাটে ফেরিতে ওঠার জন্য অপেক্ষায় থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন শেষ হয়ে যাওয়ায় মৃত্যু হয় রোগীর।
এমন বাস্তবতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘ভারতসহ অন্য দেশের ভ্যারিয়েন্ট যেন আমাদের দেশে প্রবেশ করতে না পারে এ বিষয়ে আমরা সর্তক রয়েছি। এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। ভারতের মতো পরিস্থিতি আমাদের দেশে তৈরি হলে নাজুক অবস্থা হবে।’
বাংলাদেশে এরই মধ্যে ছয়জনের দেহে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ‘ডাবল মিউট্যান্ট’ ধরন শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এক বছরে করোনা চিকিৎসায় সক্ষমতা বেড়েছে জানিয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা সক্ষমতা বাড়িয়েছি। কিন্তু আমাদের তারও সীমাবদ্ধতা আছে।
‘তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে; মাস্ক পরতে হবে। সাবান পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে।’
টিকা সংকট নিরসনে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে খুরশীদ আলম বলেন, যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছে তাদের দ্বিতীয় ডোজ দিতে হলে আরও ১৪ লাখ টিকা প্রয়োজন। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আনতে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, চীনের উপহারের ৫ লাখ টিকা চলে আসছে। এই সময়ের মধ্যে সিরামের টিকা আসার কথা থাকলেও আসেনি।
সিরামের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী ৩ কোটি ৪০ লাখ কেনা টিকার মধ্যে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত পেয়েছে ৭০ লাখ। বাকি টিকা আসা অনিশ্চিত।