বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা মহামারি ঠেকানো যেত: প্রতিবেদন

  •    
  • ১৩ মে, ২০২১ ১৫:০৮

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঝুঁকিপূর্ণ ও দুর্বল সমন্বয়ের কারণে সতর্কতার লক্ষণগুলো উপেক্ষিত হয়েছে। এর ফলে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। আর বিজ্ঞান অস্বীকার করা নেতাদের আচরণ স্বাস্থ্য খাতের ওপর জনসাধারণের আস্থা কমিয়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারির বিপর্যয়কর মাত্রা ঠেকানো সম্ভব ছিল। কিন্তু একের পর এক বাজে সিদ্ধান্তে সেটি সম্ভব হয়নি। ফলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে ৩৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি।

চিকিৎসাবিষয়ক প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক সাময়িকী দ্য ল্যানসেটে বুধবার প্রকাশিত মেকিং কোভিভ-১৯ দ্য লাস্ট প্যানডেমিক নামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ঝুঁকিপূর্ণ ও দুর্বল সমন্বয়ের কারণে সতর্কতার লক্ষণগুলো উপেক্ষিত হয়েছে। এর ফলে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। আর বিজ্ঞান অস্বীকার করা নেতাদের আচরণ স্বাস্থ্য খাতের ওপর জনসাধারণের আস্থা কমিয়েছে।

করোনা মহামারি নিয়ে কাজ করা ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্যানেল ফর প্যানডেমিক প্রিপারডনেস অ্যান্ড রেসপন্স জানিয়েছে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রাদুর্ভাবের পর তাৎক্ষণিক সাড়ার অভাব ছিল। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশগুলো এ সতর্কবার্তা মানতে ব্যর্থ হওয়ায় করোনাবিরোধী লড়াই থেকে একটি মাস হারিয়ে যায়।

প্রতিবেদনে মহামারি মোকাবিলায় দরিদ্র দেশগুলোকে ১০০ কোটি ডোজ টিকা অনুদান ও মহামারি নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোকে তহবিল দিতে ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনটির জন্য গত বছরের মে মাসে সদস্য দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

প্রতিবেদন তৈরি করা প্যানেলের সভাপতি ছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্ক এবং ২০১১ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী লাইবেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এলেন জনসন সারলিফ।

প্রতিবেদনে করোনা মহামারির মতো আরেকটি বিপর্যয় রোধে সতর্কতা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হয়েছে।

এলেন জনসন সারলিফ বলেন, ‘আমরা বিশ্বজুড়ে যে পরিস্থিতি দেখছি সেটি ঠেকানো যেত। প্রস্তুতি ও সাড়ায় দেরিসহ আরও অনেক কারণে সেটি সম্ভব হয়নি।’

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মহামারিজনিত হুমকির বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়েছিল। দেশগুলো এটি মোকাবিলা করার বিষয়ে ভয়ংকরভাবে অপ্রস্তুত ছিল।

এ বিভাগের আরো খবর