ঈদুল ফিতরের পর থেকে চীন থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া সিনোফার্মের টিকার ৫ লাখ ডোজ দেয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মেডিক্যাল কলেজ ও নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিশেষ জনগোষ্ঠীকে দিয়ে এই টিকার প্রয়োগ শুরু হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘চীন থেকে যে ৫ লাখ টিকা এসেছে সেটি বিশেষ জনগোষ্ঠীকে দেয়া হবে। এর মধ্যে যারা মেডিক্যাল শিক্ষার্থী ও নার্সিং শিক্ষার্থী রয়েছেন এবং যারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ল্যাবে কাজ করেন তাদের এই টিকা আগে দেয়া হবে।’
তিনি জানান, ৫ লাখ টিকা দিয়ে পর্যায়ক্রমে আড়াই লাখ মানুষের টিকা দেয়া সম্ভব হবে।
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘টিকা কার্যক্রম চলা অবস্থায় চীন থেকে বাণিজ্যিক পদ্ধতিতে টিকা আনতে চুক্তি করা হবে। আশা করি, চীনের কাছ থেকে এ বিষয়ে খুব দ্রুতই সাড়া পাব। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের প্রথম ডোজে স্থগিত থাকা টিকা কার্যক্রম শুরু করতে পারব।’
টিকার ঘাটতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যেভাবে হিসাব করেছি, তাতে বর্তমানে প্রায় ১২ থেকে ১৩ লাখ টিকার ঘাটতি রয়েছে। অঙ্কের হিসাবে হয়তো এটা নাও মিলতে পারে, তবে এই সংকট নিরসনে সরকার কাজ করছে।’
এ বছর ঈদুল ফিতর উদযাপনে ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এতে ঈদগাহের পরিবর্তে মসজিদে জামাত আদায় করার কথা বলা হয়।
ঈদগাহে ঈদের জামাতে বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা বিজ্ঞানকে প্রাধান্য দিয়ে খোলামেলা জায়গায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে ঈদের জামায়াত করতে পরামর্শ দিয়েছি। খোলা জায়গায় বায়ুপ্রবাহ থাকার কারণে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি কম থাকে। ধর্ম মন্ত্রণালয় যা বলছে, আমরা পরীক্ষা করে দেখব। তাদের সাথে আমরা যোগাযোগ করব। আশা করি এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।’