দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকাদানের আওতায় আনতে চীন থেকে দ্রুত আরও টিকা পেতে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চীনের উপহারের পাঁচ লাখ টিকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
ওই সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম, ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সি-১৩০জে পরিবহন বিমান বুধবার ভোরে সিনোফার্ম উদ্ভাবিত টিকা ও এডি সিরিঞ্জ নিয়ে ঢাকার কুর্মিটোলায় বিমানবাহিনীর বঙ্গবন্ধু ঘাঁটিতে অবতরণ করে।
বাংলাদেশ এ টিকার আরও ডোজ পেতে চায় জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আরও টিকা পেতে চীন সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ভ্যাকসিন আমরা পাব। সেই প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা এগোচ্ছি।’
তিনি বলেন, সিনাফার্মের টিকা চীনসহ বিভিন্ন দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে। এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ টিকার অনুমোদন দিয়েছে।
‘আমরা আশা করি এই টিকাটি আরও বেশি করে আমাদের দেশে আনতে পারব।’
মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে টিকা নেয়া একটি অন্যতম পন্থা। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই। ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখতে মাস্ক পরা একটি অন্যতম পন্থা।
দেশে করোনাভাইরাস মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আছে মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন করোনা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে। তবে ঈদযাত্রায় যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি অবহেলিত ও উপেক্ষিত হয়েছে, আবার সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে।
‘সরকার থেকে জনগণকে সুরক্ষা রাখার জন্য বিধিনিষেধ দিয়েছিল। তবে জনগণ সেই বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ঈদে বাড়িতে গিয়েছে।’