চীন থেকে উপহার হিসেবে পাঠানো করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা বিবিআইবিপি-করভির ৫ লাখ ডোজ বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সি-১৩০জে পরিবহন বিমান বুধবার ভোরে সিনোফার্ম উদ্ভাবিত টিকা ও এডি সিরিঞ্জ নিয়ে ঢাকার কুর্মিটোলায় বিমানবাহিনীর বঙ্গবন্ধু ঘাঁটিতে অবতরণ করে।
চীন থেকে টিকা আনতে মঙ্গলবার ১৩ জন এয়ার ক্রু চীনের উদ্দেশে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়েছিলেন। বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার হাবিবুর রহমান দলনেতা হিসেবে এই গুডউইল মিশনের দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সিনোফার্মের উপহারের টিকা আসছে বুধবার।
তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশ করোনাভাইরাস প্রতিরোধী চীনের টিকার ৪ থেকে ৫ কোটি ডোজ কিনতে চায়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশের ৮০ শতাংশ জনগণের টিকা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার। টিকা পেতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী চীন থেকে ৪ থেকে ৫ কোটি ডোজ টিকা কেনা হবে।
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রয়োগ করা হচ্ছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশে যত টিকা আসার কথা ছিল, ততগুলো আসেনি।
৩ কোটি ৪০ লাখ কেনা টিকার মধ্যে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত পেয়েছে ৭০ লাখ। বাকি টিকা আসা অনিশ্চিত পুরোপুরি। এর বাইরে আছে ভারত সরকারের উপহারের ৩৩ লাখ টিকা।
এমন বাস্তবতায় দ্বিতীয় ডোজ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না অনেককে। টিকার এ ঘাটতি মেটাতে চীন, রাশিয়ার টিকা কিনছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২ কোটি ডোজ টিকা চাওয়া হয়েছে।
চীনের কেনা টিকা ডিসেম্বরের আগে আনার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেনার বিষয়ে চীনা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে, যা কিনতে পারলে ডিসেম্বরের আগে আসবে।’