বাংলাদেশ করোনাভাইরাস প্রতিরোধী চীনের টিকার চার থেকে পাঁচ কোটি ডোজ কিনতে চায় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নেপালকে করোনা সামগ্রী উপহার দেওয়ার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সিনোফার্ম উদ্ভাবিত টিকা বিবিআইবিপি-করভির উপহারের পাঁচ লাখ ডোজ আসছে বুধবার।
এর আগের দিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশের ৮০ শতাংশ জনগণের টিকা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার। টিকা পেতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী চীন থেকে চার থেকে পাঁচ কোটি ডোজ টিকা কেনা হবে।
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রয়োগ করা হচ্ছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশে যত টিকা আসার কথা ছিল, ততগুলো আসেনি।
৩ কোটি ৪০ লাখ কেনা টিকার মধ্যে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত পেয়েছে ৭০ লাখ। বাকি টিকা আসা অনিশ্চিত পুরোপুরি। এর বাইরে আছে ভারত সরকারের উপহারের ৩৩ লাখ টিকা।
এমন বাস্তবতায় দ্বিতীয় ডোজ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না অনেককে। টিকার এ ঘাটতি মেটাতে চীন, রাশিয়ার টিকা কিনছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২ কোটি ডোজ টিকা চাওয়া হয়েছে।
চীনের টিকা ডিসেম্বরের আগে আনার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেনার বিষয়ে চীনা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে, যা কিনতে পারলে ডিসেম্বরের আগে আসবে।’
ঈদের উপহার হিসেবে চীনের ৫ লাখ টিকা আসছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চীন থেকে আগামীকাল টিকা আসবে। দ্বিতীয় ডোজ যাতে নিশ্চিত করা যায়, সেভাবে হাতে রেখেই এ টিকা দেওয়া হবে।’
জনগণ সচেতন না হলে করোনা মহামারি থেকে বের হওয়া সম্ভব নয় মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে। জনগণের সচেতনতার সঙ্গে সরকারি দিকনির্দেশনা বাড়াতে হবে। জনগণের সহযোগিতা ছাড়া এ মহামারি থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়।