চীন থেকে দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী উপহারের ৫ লাখ ‘বিবিআইবিপি-করভি’ টিকা আনতে রওনা হয়েছে বিমানবাহিনীর একটি পরিবহন বিমান।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা ১২ মিনিটে বিমানবাহিনীর বিমানটি চীনে উড়াল দেয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি সি-১৩০ জে পরিবহন বিমান মঙ্গলবার সকাল ৮টা ১২মিনিটে করোনাভাইরাসের টিকা আনতে চীনের উদ্দেশে যাত্রা করেছে।’
এর আগে ঢাকায় চীনা দূতাবাসের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে সোমবার সন্ধ্যায় এক পোস্টে জানানো হয়, উপহারের ৫ লাখ ডোজ টিকার প্যাকিং শেষ করেছে উৎপাদক প্রতিষ্ঠান সিনোফার্ম। হিমায়িত বিশেষ কনটেইনারে করে টিকাগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে।
‘এখন শুধু পৌঁছানোর ক্ষণ গণনা!’- জানায় চীনা দূতাবাস।
তার ঠিক তিন ঘণ্টা পর অপর এক পোস্টে ঢাকায় চীনা দূতাবাস জানায়, বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে উপহারের ৫ লাখ ডোজ টিকা।
ওই পোস্টে আরও বলা হয়, ‘এয়ারক্রাফটে টিকাগুলো তোলা এবং বাংলাদেশে পাঠানোর অপেক্ষা।’
এসব টিকা বুধবার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট চুক্তি অনুযায়ী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাঠাতে ব্যর্থ হওয়ার পর, বিকল্প উৎস হিসেবে চীনের সিনোফার্মের ‘বিবিআইবিপি-করভি’ টিকা আনার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।
তবে সোমবার হতাশার খবর দিয়েছে চীন। বাংলাদেশকে ডিসেম্বরের আগে চীন থেকে বাণিজ্যিকভাবে টিকা পাওয়ার আশা না করতে বলেছেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে লি জিমিং বলেন, ‘আপাতত আমি যেটুকু বলতে পারি, বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশের টিকা কেনার জন্য আমার তরফ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা আমি করব। তবে বেইজিংয়ে আমার সহকর্মীরা প্রথমে আমাকে যেটা বলেছে, ওই লাইন এত বেশি দীর্ঘ যে ডিসেম্বরের আগে টিকা পাওয়ার আশা না করাই ভালো।’