অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দ্রুত সময়ে এনে দ্বিতীয় ডোজ ও সামগ্রিক টিকাদান কর্মসূচি চালু রাখার ওপর জোর দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেতে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখারও সুপারিশ করেছে কমিটি।
রোববার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও গোপালগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান।
বৈঠকে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মো. আব্দুল মজিদ খান, মো. হাবিবে মিল্লাত ও কাজী নাবিল আহমেদ অংশ নেন।
বৈঠকে বিভিন্ন দেশ ও মাধ্যম থেকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পাওয়ার সব শেষ অবস্থা, বিদেশি সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধানের উপস্থিতিতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং ইরাকের নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতদের কর্মপরিকল্পনা উত্থাপন এবং বিশদ আলোচনা করা হয়।
মে মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে পররাষ্ট্র কমিটিকে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শনের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে কমিটি।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাওয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া চীনের সিনোফার্ম টিকার সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্যও প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে কমিটি।
মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান ও ভারতের সরকারপ্রধান/রাষ্ট্রপ্রধানদের উপস্থিতিতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে সকল কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড সফলতার সাথে সমাপন করার জন্য কমিটি থেকে মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানানো হয়।
বৈঠকে ইরাকের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করা এবং ইরাকে কর্মরত বাংলাদেশি মানবসম্পদকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ার জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।
বৈঠকে কোভিড-১৯-এর বর্তমান পরিস্থতির কারণে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধ রাখার জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।
বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইরাকের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে ৫৮ লাখের বেশি। দ্বিতীয় ডোজের জন্য সরকারের কাছে যে মজুত আছে, তাতে ১৪ লাখ টিকা ঘাটতি রয়েছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে এই ঘাটতি পূরণ করা প্রয়োজন।