বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনার লড়াইয়ে অবিশ্বাস্য দেশ ভুটান

  •    
  • ৯ মে, ২০২১ ১৪:১৬

এ পর্যন্ত ভুটানে করোনা শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ২০২ জনের। যার মধ্যে আবার সুস্থ হয়ে গেছেন এক হাজার ৬৫ জন। আর ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে একজনের।

ভারতের প্রতিবেশী হয়ে করোনায় বিপর্যস্ত অবস্থা নেপালের। বিষ্ময়কর হলেও সত্যি, আরেক প্রতিবেশী দেশ ভুটানে সেই সংক্রমণের ছিঁটেফোটাও লাগেনি।

করোনা সংক্রমণ দেশটিতে ধরা পড়ার পর গত বছর রাজধানীর থিম্পুর একটি হাসপাতালে প্রথম একজন মৃত্যুর তথ্য জানায় ছোট্ট দেশ ভুটান। দেশটিতে সংক্রমণ শনাক্তের এক বছর পার হলেও নতুন করে আর একজনও মারা যাননি ভাইরাসটিতে।

পাশের দেশ ভারতে যখন দৈনিক সংক্রমণ চার লাখের বেশি হচ্ছে, তখন ভুটানে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা গড়ে ১১ থেকে ১২ জন।

এ পর্যন্ত ভুটানে করোনা শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ২০২ জনের। যার মধ্যে আবার সুস্থ হয়ে গেছেন এক হাজার ৬৫ জন।

করোনা নিয়ন্ত্রণ রাখার অন্যতম সাফল্যের কারণ হিসেবে দেশটির জনস্বাস্থ্যে বিশেষ নজর দেয়ার বিষয়টিকেই সামনে আনছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

ভুটানে মোট চিকিৎসক আছেন ৩৩৭ জন। স্বাস্থ্যকর্মী আছেন মোট তিন হাজার। এই অল্প জনবল দিয়েই দেশটি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করেছে।

বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, দেশটি শুরুতেই করোনা প্রতিরোধে নেয়া কঠোর প্রশাসনিক পরিকল্পনা।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীন প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর দেয়। তখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে ভুটান। লক্ষণের ভিত্তিতে পরীক্ষা শুরু করে দেশটি। ২০২০ সালের ৬ মার্চ বুটান জানায় প্রথম করোনা শনাক্তের খবর।

যে ব্যক্তির শরীরে করোনা শনাক্ত হয়, শনাক্তের মাত্র সাড়ে ছয় ঘণ্টা সময়ের মধ্যে তার সংস্পের্শে আসা ৩০০ জনকে চিহ্নিত করে ভুটান। চিহ্নিত করে সবাইকে সরকারি খরচে ১৪ থেকে ২১ দিনের আইসোলেশনে রাখে।

ভবিষ্যতে কী ধরনের কার্যক্রম করবে এমন পরিকল্পনা করে দেশটির সরকারি কোয়ারেন্টিন সেন্টার চালু করে। পর্যটন নির্ভর দেশটিতে বিদেশ থেকে যাওয়া পর্যটকদেকদের সরকারি খরচে আইসোলেশনে রাখা হয়।

বন্ধ করে দেয় সব ধরনের রেস্তোরাঁ, জিম, শপিং মলসহ মানুষের সমাগম হয় এমন স্থান। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক ব্যবহারে সর্বোচ্চ কড়াকড়ি করে দেশটি। ফলে সংক্রমণ এড়াতে পারে ভুটান।

এ ছাড়া ভুটান বর্তমানে ভারতের সঙ্গে তাদের সীমন্ত বন্ধ করে রেখেছে নতুন করে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে।

বিশ্বে যে কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাস সবচেয়ে সব ক্ষতি করতে পেরেছে তার মধ্যে ভুটান একটি। এ ছাড়া ভিয়েতনাম, সেনেগালও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে সংক্রমণ।

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি টিকাদান কর্মসূচিও সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছে ভুটান সরকার। প্রথম ডোজের টিকা শেষ করে দেশটি এখন দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান করছে।

বিশ্বে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে প্রায় ১৬ কোটি। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩২ লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষের।

এ বিভাগের আরো খবর